পাতা:ওপারের কথা.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর এক কথা, ---কালো ভাবলে মনটা কালো মেরে যায়, কিন্তু তপ্তকাঞ্চন রং ভাবলে 'প্রেম ' এসে যায়। তাই শ্রীকৃষ্ণই শ্রী গৌরাঙ্গ হয়ে জগতকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, শ্রীকৃষ্ণ সাধন কি করে করতে হয়। হা য়! তবুও মানুষের চোখ ফুটল না বলে, আবার সেই পুরুষোত্তম ই শ্রী রামকৃষ্ণ রূপে "মা" "মা" করে সাধন করে গেছেন। "বাপ ও মেয়ে" কিংবা "মা ও ছেলে" এই সম্বন্ধ থাকলেই তবে দুর্দ্দমনীয় কামের হাত হতে মানুষের রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আবার মা - মা করায় শুধু পুরুষের পক্ষে নয় রমণীর পক্ষেও বিশেষ দরকার এই জন্য যে কালি অথবা বিশাল মন কে তুষ্ট করতে পারলে তিনি জলের বদলে চৈতন্যে বিবৃত করে সন্তানকে জগন্নাথের সঙ্গে মিলিত করে দেবেন। এইজন্যে শ্রীকৃষ্ণ গোপবালাদের আগে কাত্যায়নীর আরাধনা করতে বলেছিলেন। বলি মা মেয়েকে সাজিয়ে গুজিয়ে স্বামীগৃহে পাঠান ও যা কিছু শিখিয়ে দেন? তাই তোর এ হাবাতে ছেলে বারবার বলে,__ মা, দুদিনের জন্য দেহের কথা, দেহের আচার ও দেহের সম্বন্ধ প্রাণ হতে নিংড়ে ফেল । তবে তবেই চিরসুখ, চিরশান্তি, চির আরাম, চির আনন্দ ও চির জীবন পাবি __পাবি__ নিশ্চিত পাবি; আর তোর সাধনার দরুন আরো দশজন__ তোর আত্মীয় জন__-জীবন পাবে। তারা দৌড়ে ছুটে এসে তোর সঙ্গে