পাতা:ওপারের কথা.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sto বলি, ও বিন্নহিণী দিদিমনি-তোমার মত বিরহী-বিরহিণীদের পাল্লায় পড়ে এ মুখপোড়া যে কাহিলবেজায় কাহিল হ’য়ে প’ড়চে, সে খবরটা রেখোচ কি ? তা কাহিল হ’বার কথা নয় কি গা ? লোকে একটা আধটা ভূত-পেতনীতে পাওয়া রুগী নিয়ে অস্থির হয়ে বেড়ায়, আর এই কি বলেশত্রুর মুখে ছাই দিয়ে, তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে—এই বয়সে, একটা আধটা নয়, দু’চারশ বা দু’চার হাজার বিরহ-রোগগ্ৰস্ত ভূত-পেতনী নিয়ে এ হাবাতেকে ঘর-কন্ন করতে হ’চ্চে ! তাই পোড়া হাতটার আর কামাই নেই! কি ছাঁর কপাল ক’রেই • যে, সে এই ধড়ে এসে জুড়ে ব’সেছিল—তা সেই জানে!, তা । শুধু তাকেই “ছার কপালে’, ‘হতচ্ছাড়া” ইত্যাদি মিঠে সম্ভাষণ করি কেন, এই সোণার-চাদ মুখ-খানাও কি ওমুখে হ'লে রেহাই পায় গা ? তাই বলি-রে কৰ্ম্ম-বন্ধন!! তোরই জিত ! তাই,-“মা মা” “বাবা বাবা” ক’রে সেধে কেঁদেও দেনাচুক্তি । হ’য়েও হয় না। হরি হরি! দেনাচুক্তি হবে! দেন যে দিনের দিন বাড়তেই চ’ললো! কারণ, কত নূতন নূতন মূৰ্ত্তি,-“বাবা, “গুরুদেব, ‘দাদামণি' ইত্যাদি বুলি নিয়ে দেখা দিচ্চে ! আ-হা- হা! মরি মারি কি মধুর সম্ভাষণ গা! কি প্ৰাণ-ভোলান বুলি । গা! কি মনোহারী আলাপ গা! . . . . লোকে ঠিকঠাকু বুঝেচে যে, এই হাবাতোটা ‘বাণ্ডিল খেয়ে । --