পাতা:ওপারের কথা.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ : ওপারের কথা । ক্ৰীত দাসদাসী হ’য়ে থাকতো না। ওমা, সেই সুখটা হ’চ্চে,- উপভোগ বা বিহার বা রমণসুখ-তা আবার “হরদম বা প্রতি লোমকূপে লোমকূপে ! কে কার সঙ্গে এ মজা উড়ায় ? ওমা,-“আত্ম-চৈতন্যময়ী মনের সঙ্গে। কি ক’রে এ সুখ পাওয়া সম্ভব ? ওমা,—মনটা আত্মার সম-গুণ-সম্পন্ন হ’লে। মন কি উপায়ে সেই গুণসম্পন্ন হ’তে পারে ? মনকে যে বর্ণে ছোবাও সেই বর্ণের ছোব ধরে ও যে গুণ ধরাও সেইগুণ ধ’বুতে পারে,-যদি একটু ধৈর্য্য ও চেষ্টা থাকে। । মানুষেল প্ৰধান অভাব শক্তি ও আনলেদল। টকটকে লাল রঙটা এই দুটো গুণের নির্দেশক। -- সুতরাং সকল সময়ে মনে রাখতে হবে যে, —সৰ্ব্বশক্তিমান, আনন্দময় ‘বাবা’, ‘স্বামী’বা। গুরু’ আত্মাভাবে এই দেহে উক্ত বর্ণে আছেন। জ্ঞান ও শান্তি পেতে সাধ পুষ লে,-পূর্ণিমার চাঁদের বর্ণটা ধারণা ক’রে, মনে মনে ভাবতে হবে যে, জ্ঞানময়, ও শান্তিময় ‘বাবা’, ‘স্বামী ’বা। “গুরু" আত্মাভাবে এই দেহে উক্ত বর্ণে আছেন। সকল সময়ে জ্ঞানময় ও আনন্দময় পিতা, স্বামী বা গুরু আত্মভাবে এই দেহে । আছেন,-ইহা জানায়ে দেয় ওঁকার-রূপী দীপ্তিমান আলোক। . সাধন ভজন ক’রে মানুষ সুখভোগ ক’বৃতে । পারে। F মত দি কেন? ওমা-গুণের আদর করে না বলে। হয় কোন গুণের আদর ক'তে শিখলে নিশ্চিত । গুণবান গুণবতী হয়। গুণের আদর কি ? বর্ণের ধারণা