পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क: श्रृंहिाँ६ ।। సిఖీ যে ইহকালের জন্য পরকালের সর্বনাশ করা মসুস্থ্যের পক্ষে শ্রেয় বা গৌরবের কীর্ষ্য । যদি মরিতেই হয় তবে পরকাল লইয়া মরা অপেক্ষা ইহকাল লইয়া মন্ত্রায় মনুষ্যের অনিষ্ট অপমান ও অগৌরৰ অনেক অধিক। " হিন্দুর পরকালের প্রকৃতি বিবেচনা করিয়াও দেখা গেল ষে ইহকালকে পরকালের সম্পূর্ণ অধীন ও অনুবত্তী করিয়া তিনি ঠিক পথই ধবিয়াছেন । এইবার ইউরোপের কথা ৰিবেচনা করিয়া দেখিতে হইবে। মোটামুটি বলিতে গেলে, তথায় পরকাল ইহকালের অধীন। কিন্তু খৃষ্টীয ধৰ্ম্মশাস্ত্রে পরকালের যেরূপ প্রকৃতি নির্দিষ্ট হইয়াছে তাহা বিবেচনা কবিলে খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী ইউরোপেরও ভারতের স্যায় ইহকালকেই পরকালের অধীন ও অনুবৰ্ত্ত করা কৰ্ত্তব্য। খৃষ্টধৰ্ম্মে যাহাকে মুক্তি বলে তাহা লাভ করিবার জন্য সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হওয়া ভিন্ন গত্যস্তর নাই। মানুষকে নিষ্পাপ-করিবার জন্যই যীশুখৃষ্ট জগতে আবিভূত হইয় আপন জীবন বলি দিয়াছিলেন। ও কথার অর্থ এই ষে মানর প্রকৃতিতে যে পাপের বীজ নিহিত আছে, বীশুখৃষ্টকে ত্রাণকৰ্ত্ত বলিয়া অস্তরের অস্তরে বিশ্বাস করিলে তাহা বিনষ্ট হইয়া মানুষ নিষ্পাপ হয় এবং নিষ্পাপ হইলে পরমেশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করিয় তাহারই. পাপতাপাদিপরিশূন্ত স্বৰ্গলোকে প্রতিষ্ঠিত হয় । এখন ভাষিয়া দেখ নিষ্পাপ হওয়া কি কঠিন, কি বিষম ব্যাপার ।