পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঃ পন্থাঃ । >* - * . পরকাল লইয়া বেশী থাকিতেন, খৃষ্টান ইউরোপে তখন পূজা অর্চনা উপাসনা আরাধনা দান ধ্যান জপ তপ তীর্থদর্শন প্রভৃতি বেশী বেশী পরিমাণে হইত, তখন খৃষ্টান ইউরোপে ভক্ত সাধু সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী মঠবাসী মঠবাসিনীর সংখ্যা - এক বকম অসংখ্য ছিল। প্রত্যুত খৃষ্টান ইউরোপেৰ ধৰ্ম্মশাস্ত্রে পরকালের প্রকৃতি যেরূপ নির্দিষ্ট হইয়াছে তাহ বিবেচনা করিলে খৃষ্টান ইউৰোপের সেই রূপই হওয়া উচিত ও আবশ্যক। কিন্তু ইউরোপ পূর্বে যাহাই করিয়া থাকুন, ইদানীং ইহকালকেই প্রধান এবং পবকালকে ইহকালের অধীন করিযাছেন । সুতরাং ইউরোপের পবকালের প্রকৃতি বিবেচনা করিয়া দেখা যাইতেছে যে পৰকালকে ইহকালের অধীন করিয়া ইউবোপ ঠিক পথ পরিত্যাগ কবিয়াছেন । ইউরোপ সত্য সত্যই কি ইহুকালকে প্রধান করিয়াছেন ? করিয়াছেন বৈ কি ? ইউবোপের রাজ্য লালসার তৃপ্তি নাই। ইউরোপীয়দিগের রাজ্য বিস্তারের কত প্রয়াস, কত চেষ্টা, কে না দেখিতেছে । ইংলণ্ডের রাজ্যেরত সীমা নাই বলিলেই হয়। পৃথিবীর এমন খণ্ড নাই যেখানে ইংলণ্ডের রাজ্য নাই । তথাপি ইংলণ্ডের রাজ্য বিস্তারের চেষ্টা চলিতেছে। রাজ্য বিস্তারের জন্য ফ্রান্স একু সময়ে বিরাট চেষ্টা করিয়াছিলেন-সমস্ত ইউরোপ তছনছ" করিয়াছিলেন—ভারতবর্ষ পর্য্যস্ত সমরানল আনিবার সঙ্কল্প