পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo אחי בסt: আপন জীবন যাত্রাতেও অল্পাধিক পরিমাণে ইউরোপের পথ অনুসরণ করিয়াছেন । এই জন্ত, এত কালের পুর, ভারতে আবার সেই পুরাতন প্রশ্ন উখিত হইয়াছে—কঃ পন্থাঃ ? ভারতে আবার এই প্রশ্নের মীমাংসা আবশ্বক হইযাছে। যক্ষ যে অর্থে যুধিষ্ঠিরের নিকট এই প্রশ্ন উপস্থিত করিযাছিলেন, আমাদের নিকট ইহা ঠিক সে অর্থে উপস্থিত হয় নাই সত্য। ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মতত্ত্ব সম্বন্ধে মতানৈক্য দেখিয়া যক্ষ যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, ধৰ্ম্মচৰ্য্যার্থ কোন পথ অৰলম্বন করা কৰ্ত্তব্য । বৰ্ত্তমান কালে দুইটা মানব মণ্ডলীকে জীবন যাপনার্থ দুইটা পরস্পর বিরোধী পথে প্রবিষ্ট দেখিযা দুইটী পথেৰ কোনটা ভাল আমাদিগের এই কথার মীমাংসা করাব প্রয়োজন হইয়াছে। কিন্তু মীমাংসার ফলাফল উভযত্রই এক প্রকার । যুধিষ্ঠিরের মীমাংসার উপর পাণ্ডবকুলের জীবন্ম ত্যু নির্ভর করিষাছিল—আমাদের মীমাংসার উপর শুধু আমাদের নয়, শুধু ইউরোপের নয়, বোধ হয় সমস্ত মানবকুলের জীৰন্ম ত্যু নির্ভর করিবে । ইউরোপের পথে উন্নতি হয় কি না বুঝিতে হইলে, উন্নতি কাহাকে বলে অগ্রে নিরূপণ করা আবশ্বক। নিরূপণ অতি সহজ । ইউরোপ যে পথই অবলম্বন করিয়া থাকুন, নিজেই বলিয়া থাকেন যে যাহাতে ধৰ্ম্মের অপলাপ