পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^రికి কঃ পন্থাঃ । _ পুণ্য হয় সন্দেহ নাই। কিন্তু ঐশ্বৰ্য্য আধিপত্য প্রভূতির লোভেব বশীভূত হইয়া বিজেতা মাপনার স্বভাবের যে বিকৃতি বা অপকর্ষ সাধন করেন, বিজেতার হিতার্থ মহাপুণ্য সঞ্চয করিলেও তাহাব প্রতিকার হয ন। সকলেই জানেন,আমাদেবই সমাজে এমন লোক আছেন যাহারা অর্থলোভে ধনোপাৰ্জ্জন ° করিযাতদ্বার অন্নদান,জলদান,দেবালয স্থাপন প্রভূতি নানা সৎ কাৰ্য্য করিয়া থাকেন। সৎকার্য্যের জন্য র্তাহারা প্রশংসাভাজন বটে। কিন্তু অগ্ৰে লোভপরবশ হইয়া তাহারা আপনাদের স্বভাব বা প্রকৃতিব যে বিকৃতি সাধন কবেন, তাহদেব শত সৎ কার্য্যে তাহার সংশোধন হইতে পারে বলিযা বোধ হয় না । ইউরোপেব পররাজ্য গ্রহণেব পরিণামে পবোপকাব প্রবৃত্তি বা পবার্থপরতা থাকিলেও, মূলে যখন নাই, তখন পররাজ্য গ্রহণ ইউবোপের উন্নতির লক্ষণ নহে, ঘোর অবনতি বা অধোগতির লক্ষণ । বাণিজ্য ব্যবসাযধন বৃদ্ধিব সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। কৃষিপ্রধান ভারতের শাস্ত্রকারেরাও এ কথা নলিযা গিযাছেন । কিন্তু ইউরোপে অনেক সময়ে যে প্রণালীতে বাণিজ্যের উন্নতি সাধনের চেষ্টা করা হয়,তাহ বিবেচনা করিলে উহাকে ধন বৃদ্ধির প্রশস্ত পথ বলিয়া স্বীকার করিতে পারা যায় না । ইউরোপের যে রাজ্যবিস্তার এত দোষাবহ বাণিজ্যবিস্তারের ইচ্ছাই তাহার প্রধান কারণ। ঐ ইচ্ছ ইউরোপের ছোট বড় অনেকেরই মনে আজ অতিশুয় বলবতী। ভারতবর্ষের শাস্ত্রকারদিগের মতে বাণিজ্য ধন সঞ্চয়ের প্রশস্ত পথ হইলেও সমাজের শীর্ষস্থানীয়দিগের অনবলম্বনীয়। হিন্দু সমাজপ্রণালীতে পণ্ডিত, ধৰ্ম্মযাজক,