পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ço কঃ পন্থাঃ । অবস্থায় ইউরোপের অবলম্বিত পথ আর ছাডিলে চলে না । কারণ মানুষের পার্থিব অভাব পূর্বকালে অতি অল্পই ছিল, এখন অসংখ্য হইয় পডিয়াছে, এবং অভাব মোচন পূর্বকালে যেমন সহজসাধ্য ছিল এখন তেমনি দুঃসাধ্য হইয়াছে । মামুষের অভাবের সংখ্যা বাডিয়াছে বটে, কিন্তু যত বাড়িয়াছে তত বাডিবার কথাত নয়। মানুষের নিজের নিজের অভাবের হেতু পূর্বেও যে রূপ ছিল এখনও প্রায় সেইরূপ আছে । পূর্বেও মানুষের যেমন একটা শরীরে একটা মাথা, একটা পৈট, দুইটা হাত, দুইটা পা ছিল এখনও ঠিক তাঁহাই আছে । পূর্বে মানুষকে একটা পেটের খাদ্য, একটা দেহের বস্ত্র, দুইটা পায়ের জুতা সংগ্ৰহ করিতে হইত আর এখন দুইটা পেটের খাদ্য, দুইটা দেহের ৰস্ত্র, চারিটা পায়ের জুতা সংগ্ৰহ করিতে হয় এমন নহে। তথাপি অনেকে বলেন যে মানুষের অভাবের সংখ্যা বডই বাডিয়াছে । কিন্তু ষত বাঁডিযাছে সকলই যে অনিবাৰ্য্য কারণে বাডিয়াছে তাহা নহে। নিরাপদে নদী পার হইতে পারিবার জন্য সেতু একটা স্বাষ্য অভাব। সমুদ্র পার হইতে যতদূর সম্ভব নিরাপদে পেটের অন্ন আনিতে পারিবার জন্য কলের জাহাজ একটা স্যায্য অভাব । কিন্তু যত জিনিষ এখন মানুষের অভাব বলিয়া গণ্য হয় সকলই কি এমনি স্থায্য অভাব ? তুমি পুর্বে কেবল তামাক খাইতে, এখন আবার চা, চুরুট, কাফি প্রভৃতিও খাইতেছ। যখন কেবল