পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Q কঃ পন্থাঃ { গমন করিয়া যে থামিতে পারা যায় হিন্দুই তাহার প্রমাণ । কল কথা, পার্থিব পথে চলিবার সমযও যদি পরলোকের উপর প্রধান লক্ষ্য থাকে, তাহা হইলে হিন্দুর স্যায সকলেই ঐ পথে আবশ্যক মত অগ্রসর হইযা ক্ষান্ত হইতে পারে, বোধ হয় ক্ষান্ত না হইযা থাকিতে পারে না । পরলোকের উপর প্রধান লক্ষ্য থাকিলে মানুষের পাখিৰ বাসনা বলৰতী হইতে না পারায় পার্থিব অভাব বেশী ৰাডে না এবং সেই জন্য পাথিৰ পথে বেশী দূর্ব যাইবার আবশ্যকতাও হয না । পরলোকের পথ ধরিলে পার্থিব পথের সীমা ৰ দৈৰ্ঘ্য আপন আপনিই নির্দিষ্ট হইয়া পডে, নির্দিষ্ট করিবাব জন্য কষ্ট পাইতে বা বিত্রত হইতে হয় না । কঃ পন্থাঃ ?—এই প্রশ্নের যেরূপ ও যতটুকু আলোচনা এস্থলে আমার সাধ্যায়ত্ত তাহা করিয়া দেখিলাম যে ধৰ্ম্মশাস্ত্রানুসারে এবং ধৰ্ম্মশাস্ত্রনির্দিষ্ট পরকালের প্রকৃতি বিবেচনায় ভারতের পথ ত উৎকৃষ্ট পথ বটেই ; অধিকন্তু প্রয়োজনীয বা অনিবাৰ্য্য পার্থিৰ অভাব মোচনের পক্ষে ঐ পথ অন্তরায় ত নহেই প্রকৃত পক্ষে শ্রেয়ঃ পথ । অন্য দিকে দেখা গেল যে ইউরোপের পথ অর্থাৎ পার্থিব পথ কেৰল ষে প্রকৃত উন্নতির বিরোধী তাহা নহে, পাখিৰ স্থখশাস্তি সম্পদেরও প্রতিকূল। স্থতরাং ভারতের পথই পথ । সেই পথ অবলম্বন করিয়া হিন্দু আপনাকে পৃথিবীর