পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

姆 কঃ পন্থাঃ । সংযুক্ত আছে। স্বতরাং প্রশ্ন বড় কঠিন, প্রশ্ন বড় গুরুতর। কিন্তু যতই কঠিন হউক, ইহার মীমাংসায় -উদাসীন হইলে আমাদিগকে পাপগ্রস্ত হইতে হইবে—এবং গপগ্রস্ত হইলেই মরিতে হইবে । ভারতেব পথ ও ইউরোপের পথে প্রভেদ এই যে ভারত ইহলোককে পরলোকের সম্পূর্ণ অধীন করিয়া চলেন, ইউৰোপ পরলোককে বহুল পবিমাণে ইহলোকেব অধীন করিয়া চলেন । কি ভাবত কি ইউরোপ সৰ্ব্বত্রই ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ইহলোক অপেক্ষা পরলোকের প্রয়োজনীযতা অধিক গৌরব বেশী । কিন্তু ভারতের কৰ্ম্মক্ষেত্রে ইহলোক পরলোকের সম্পূর্ণ অধীন ; ইউবোপেব কৰ্ম্মক্ষেত্রে পবলোকই ইহলোকের অধীন । এই প্রভেদের অর্থ এই যে জীবনযাত্রায় ভারতেব যে পথ ইউরোপের পথ তাহার বিপরীত ॥, ভাবতেব পথ ও ইউরোপের পখ পরম্পর বিরোধী । এহ্মণে জিজ্ঞাস্ত--কঃ পন্থাঃ ? পথ কি ? ভারতের পথই পথ, না ইউরোপের পথই পথ ? অগ্রে পরলোক বা পরকালের দিক হইতে এই প্রশ্নের আলোচনা করিয়া দেখা যাউক । কি হিন্দু, কি মুসলমান, । কি খৃষ্টান সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের কথা এই যে ইহকাল সঙ্কীর্ণ, পরকাল স্বৰিস্তীর্ণ ; ইহকাল অপেক্ষা পরকালের গুরুত্ব জনেক অধিক ; ইহকাল পরকালের উদ্দেশেই অতিৰাহিত হওয়া কৰ্ত্তব্য । পরকালের গুরুত্ব সম্বন্ধে সকল ধৰ্ম্ম