যেমনি পাতার নীচে পৌঁছেছেন অমনি ঘুম এল। নড়ন-চড়ন নেই, নাক-ডাকা নেই, ঘাড় একটু ঝুঁকল না, লেজারে টোটালের জায়গায় হাতের কলমটি ঠিক ধরা আছে। অসাধারণ ক্ষমতা— দূর থেকে দেখলে কে বলবে খুড়ো ঘুমুচ্ছে। এমন সময় মেকেঞ্জি সায়েব ঘরে এল, সকলে শশব্যস্ত। সায়েব খুড়োর কাছে গিয়ে অনেকক্ষণ নিরীক্ষণ ক’রে খুড়োর কাঁধে একটি চিমটি কাটলে। খুড়ো একটু মিটমিটিয়ে চেয়েই বিড়বিড় ক’রে আরম্ভ করলে—সাঁইত্রিশের সাত নাবে তিনে-কত্তি তিন। সায়েব হেসে বললে— হ্যাভ এ কাপ অফ টী বাবু। এখন সে রামও নেই, সে অযোধ্যাও নেই। সংসারে ঘেন্না ধরে গেছে। একটি ভাল সাধু-সন্ন্যাসী পাই তো সব ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
পরমার্থ। জগন্নাথ-ঘাটে আজ একটি সাধুকে দেখে এলুম— আশ্চর্য ব্যাপার। লোকে তাঁকে বলে মিরচাই— বাবা। তিনি কেবল লঙ্কা খেয়ে থাকেন, ভাত নয়, রুটি নয়, ছাতু নয় শুধু লঙ্কা। লক্ষ লক্ষ লোক ওষুধ নিতে আসছে, একটি ক'রে লঙ্কা মন্ত্রপূত ক’রে দিচ্ছেন, তাই খেয়ে সব ভাল হয়ে যাচ্ছে। শুনেছি তাঁর আবার
৪