জনশূন্য ক্যালকাটা রোডে একাকী পদচারণ করিতে করিতে ভাবিতেছিলাম —অবলম্বনহীন মেঘরাজ্যে আর তো ভাল লাগে না... এমন সময় অনতিদূরে—
এই পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের সহিত আশ্চর্য রকম মিল আছে। কিন্তু আমার অদৃষ্ট অন্যপ্রকার, —বজ্রাওনের নবাব গোলাম কাদের খাঁর পুত্রীর সাক্ষাৎ পাইলাম না। দেখা হইল ডুমরাওনের মোক্তার নকুড় চৌধুরীর সঙ্গে, যিনি সম্পর্ক নির্বিশেষে আত্মীয়-অনাত্মীয় সকলেরই সরকারী মামা।
নকুড়-মামা পথের পার্শ্বস্থিত খদের ধারে একটা বেঞ্চে বসিয়া আছেন। তাঁর মাথায় ছাতা, গলায় কম্ফর্টার, গায়ে ওভারকোট, চক্ষুতে ভ্রূকুটি, মুখে বিরক্তি। আমাকে দেখিয়া কহিলেন— ‘ব্রজেন নাকি?’
বলিলাম ‘আজ্ঞে হ্যাঁ। তার পর, আপনি যে হঠাৎ দার্জিলিংএ? বাড়ির সব ভাল তো? কেষ্টর খবর কি —বেনারসেই আছে নাকি? কি করছে সে আজকাল?’ কেষ্ট নকুড়-মামার আপন ভাগিনেয়, বেনারসের বিখ্যাত যাদব ডাক্তারের একমাত্র পুত্র, পিতৃমাতৃহীন, বয়স চব্বিশ-পঁচিশ। সে একটু পাগলাটে
১৪৮