তার পর আমসত্ত্বর কল ক’রে কিছু টাকা ওড়ালে। তারপর কলকাতায় গিয়ে কতকগুলো ছোঁড়ার সর্দার হয়ে একটা সমিতি করলে। তার পর বম্বে গেল, দেখান থেকে আমাকে এক আর্জেণ্ট টেলিগ্রাম। কি হুকুম? না এক্ষুনি দার্জিলিং যাও, মুন-শাইন ভিলায় ওঠ, আমিও যাচ্ছি, বিবাহ করতে চাই। কি করি, বড়লোক ভাগনে, সকল আবদার শুনতে হয়। এসে দেখি—মুন-শাইন ভিলায় নরক গুলজার। বরযাত্রীর দল আগে থেকে এসে ব’সে আছে। সেই কচি-সংসদ,— কেষ্টা যাব প্রেসিডেণ্ট।
আমি। পাত্রী ঠিক হয়েছে?
নকুড়। আরে কোথায় পাত্রী! এখানে এসে হয়তো একটা লেপচানী কি ভুটানী বিয়ে করবে।
আমি। কচি-সংসদের সদস্যরা কিছু জানে না?
নকুড়। কিচ্ছু না। আর জানলেই বা কি, তাদেব কথাবার্তা আমি মোটেই বুঝতে পারি না, সব যেন হেঁয়ালি। তবে তারা খায়-দায় ভাল, আমার সঙ্গে তাদের ঐটুকুই সম্বন্ধ। কেষ্ট-বাবাজী আজ বিকেলে পৌঁছবেন। সন্ধ্যেবেলা যদি এস, তবে সবই টের পাবে, সংসদের সঙেদের সঙ্গেও আলাপ-পরিচয় হবে।
১৫২