বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

 জাবালি কৌতূহলপরবশ হইয়া বলিলেন— ‘হে ধর্মরাজ, কুম্ভের ভিতরে কি হইতেছে দয়া করিয়া আমাকে দেখাও।’

 ধর্মরাজের আজ্ঞা পাইয়া জনৈক যমকিংকর কুম্ভের আবরণী উন্মুক্ত করিল। যম তাহার মধ্যে একটি বৃহৎ দারুময় দর্বী নিমজ্জিত করিয়া সন্তর্পণে উত্তোলিত করিলেন। সিক্তজটাজূট ধুমায়িতকলেবর কয়েকজন ঋষি দর্বীতে সংলগ্ন হইয়া উঠিলেন এবং যজ্ঞোপবীত ছিঁড়িয়া অভিসম্পাত আরম্ভ করিলেন ‘রে নারকী যমরাজ, যদি আমাদের কিঞ্চিদপি তপঃপ্রভাব থাকে—’

 দর্বী উল্টাইয়া কুম্ভের ঢাকনি ঝটিতি বন্ধ করিয়া যম কহিলেন— ‘হে ‘জাবালে, এই কোপনস্বভাব ঋষিগণের কাঠিন্য দূর হইতে এখনও বহু বিলম্ব আছে। উঁহাবা আরও অষ্টাহকাল পরিসিদ্ধ হইতে থাকুন।’

 এমন সময় কয়েকজন যমদূতের সহিত খর্বট খল্লাট খালিত বিষণ্নবদনে কুম্ভীপাকের গর্ভগৃহে প্রবেশ করিলেন।

 জাবালি কহিলেন— ‘হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা এখানে কেন, ব্রহ্মলোকে কি স্থানাভাব ঘটিয়াছে?’

 খর্বট উত্তর দিলেন— ‘জাবালে, তুমি বিরক্ত করিও না, আমরা এখানে তদারক করিতে আসিয়াছি।’

৭৮