পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
কথামালা।

বলিয়া, সেই হরিণকে সমান তিন অংশে বিভক্ত করিয়া, সিংহ কহিল, দেখ, প্রথম ভাগ আমি লইব, কারণ, আমি সকল পশুর রাজা; আর, আমি শিকারে যে পরিশ্রম করিয়াছি, সেই পরিশ্রমের পুরস্কার স্বরূপ, দ্বিতীয় ভাগ লইব; তৃতীয় ভাগের বিষয়ে আমার বক্তব্য এই, যাহার ক্ষমতা থাকে সে লউক। অন্য অন্য পশুরা, সিংহের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া, এই ভাবিতে ভাবিতে চলিয়া গেল, প্রবল লোকেরা স্বার্থপর ও বিবেচনাশূন্য হইলে, দুর্ব্বলের পক্ষে এইরূপ বিচারই হইয়া থাকে।

কুকুর ও অশ্বগণ

এক কুকুর অশ্বগণের আহারস্থানে শয়ন করিয়া থাকিত। অশ্বগণ আহার করিতে গেলে, সে ভয়ানক চীৎকার করিত, এবং, দংশন করিতে উদ্যত হইয়া, তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিত। এক দিন, এক অশ্ব কহিল, দেখ, এই হতভাগা কুকুর কেমন দুর্বৃত্ত! আহারের দ্রব্যের উপর শয়ন