পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা
৭৩

এবং, ব্যাধেরা আর আমার সন্ধান পাইবেক না, এই স্থির করিয়া, সচ্ছন্দ মনে, দ্রাক্ষালতা খাইতে আরম্ভ করিল। ব্যাধগণ, হরিণের বিষয়ে নিরাশ হইয়া, ঐ দ্রাক্ষাবনের ধার দিয়া, চলিয়া যাইতেছিল। তাহারা, লতাভক্ষণের শব্দ শুনিয়া, বনের দিকে মুখ ফিরাইল, এবং, ঐ স্থানে হরিণ আছে, এই অনুমান করিয়া, শরনিক্ষেপ করিল। সেই শরের আঘাতে, হরিণের মৃত্যু হইল। হরিণ, এই কয়টি কথা বলিয়া, প্রাণত্যাগ করিল যে, যাহারা, বিপদের সময়, আমায় আশ্রয় দিয়াছিল, আমি যে তাহাদের অপকারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম, তাহার সমুচিত প্রতিফল পাইলাম।

কৃপণ

এক কৃপণের কিছু সম্পত্তি ছিল। সর্ব্বদা তাহার এই ভয় ও ভাবনা হইত, পাছে চোরে ও দস্যুতে অপহরণ করে। এজন্য, সে বিবেচনা করিল, যাহাতে কেহ সন্ধান না পায়, ও চুরি করিতে না পারে, এরূপ কোনও ব্যবস্থা করা আবশ্যক। অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া, অবশেষে, সে সর্ব্বস্ব