পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
কথামালা
    1. A ## এক বৃহৎ হরিণ শিকার করিল। ভাগের সময় উপস্থিত হইলে, সিংহ বলিল, “তোমাদিগকে ব্যস্ত হইতে হইবে না; আমি যথাযোগ্য ভাগ করিয়া দিতেছি।” এই বলিয়া, সেই হরিণকে সমান তিন ভাগ করিয়া, সিংহ বলিল, “দেখ, প্রথম ভাগ আমি লইব, কারণ আমি সকল পশুর রাজা; আর আমি শিকারে যে পরিশ্রম করিয়াছি, সেই পরিশ্রমের পুরস্কারস্বরূপ, দ্বিতীয় ভাগ লইব; তৃতীয় ভাগের বিষয় আমার বক্তব্য এই যাহার ক্ষমতা থাকে, সে লউক।” অন্য অন্য পশুরা, সিংহের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া, এই ভাবিতে ভাবিতে চলিয়া গেল, “প্রবল লোকেরা স্বার্থপর ও বিবেচনাশূন্য হইলে, দুর্ব্বলের পক্ষে এইরূপ বিচারই হইয়া থাকে।”


শিকার—প্রাণিবধ।
বক্তব্য—বলিবার বিষয়।
স্বার্থপর—স্বকার্য্যসাধনে তৎপর।


যথাযোগ্য—উচিতমত, যথোপযুক্ত
প্রবল—বলবান্, বলশালী।
বিচার—ভালমন্দ মীমাংসা।






জ্যোতির্ব্বেত্তা

এক জ্যোতির্ব্বেত্তা, প্রতিদিন রাত্রিতে নক্ষত্র দর্শন করিতেন। একদিন তিনি আকাশে দৃষ্টিপাত করিয়া, নিবিষ্টমনে নক্ষত্র দেখিতে দেখিতে পথে চলিয়া যাইতেছিলেন। সম্মুখে এক কূপ ছিল; দেখিতে না পাইয়া,