পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
কথামালা

তোর বাপ আমার নিন্দা করিয়াছিল। তুই কর, আর তোর বাপ করুক্, একই কথা, আর তোর কোনও ওজর শুনিতে চাহি না। এই বলিয়া বাঘ, ঐ অসহায় দুর্ব্বল মেষশাবকের প্রাণসংহার করিল।

 দুরাত্মার ছলের অসদ্ভাব নাই।

 আমি অপরাধী নহি বা এরূপ করা অন্যায়, ইহা বলিয়া প্রবল ব্যক্তির অত্যাচার হইতে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না।

প্রাণসংহার করিয়া—মারিয়া ফেলিয়া।
সম্পন্ন করি—শেষ করি, নির্ব্বাহ করি।
অতএব—এ কারণ।
সত্বর-গমনে—শীঘ্র যাইয়া, দ্রুত যাইয়া।
দুরাত্মন্—দুরাচার, দুষ্ট, পাপাশয়।
প্রতিফল—শাস্তি, উপযুক্ত দণ্ড।
অসহায়-সহায়হীন, নিঃসহায়।
ছলের-ছলনার, শঠতার, চাতুরীর।
অত্যাচার-দৌরাত্ম্য, উপদ্রব।

আহার—ভোজন, খাওয়া।
প্রণবধ করা-মারিয়া ফেলা।
উপস্থিত—উপনীত।
ঘোলা—অপরিষ্কার।
সমুচিত—উচিত, যথোচিত।
অন্যায়—অসঙ্গত।
দুরাত্মার—দুরাচারের, দুষ্টের।
অসুদ্ভাব—অপ্রতুল, অভাব।
পরিত্রাণ—মুক্তি, নিস্তার, রক্ষা






মাছি ও মধুর কলসী

এক দোকানে মধুর কলসী উল্‌টিয়া পড়িয়াছিল। তাহাতে চারিদিকে মধু ছড়াইয়া যায়। মধুর গন্ধ পাইয়া, ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি আসিয়া, সেই মধু খাইতে লাগিল। যতক্ষণ এক ফোঁটা মধু পড়িয়া রহিল, তাহারা ঐ স্থান হইতে নড়িল না। অধিকক্ষণ তথায় থাকাতে, ক্রমে ক্রমে, সমুদয় মাছির পা মধুতে জড়াইয়া গেল, মাছি সকল আর কোনও