পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
কথামালা

প্রধান অবয়ব; উদরের পরিচর্য্যার জন্য পরিশ্রম না করিলে, সকলকেই দুর্ব্বল ও নিস্তেজ হইতে হইবে। আমরা পরিশ্রম করিয়া কেবল উদরের সাহায্য করি, এমন নহে। উদরের পক্ষে, যেমন অন্য অন্য অবয়বের সাহায্য আবশ্যক, অন্য অন্য অবয়বের পক্ষেও, সেইরূপ উদরের সাহায্য আবশ্যক। যদি সুস্থ থাকা আবশ্যক হয়, সকল অবয়বকেই স্ব স্ব নিয়মিত কর্ম্ম করিতে হইবে, নতুবা কাহারও ভদ্রস্থতা নাই।

অবয়ব—অঙ্গ, শরীর, দেহ।
নিশ্চিন্ত—নির্ভাবনা।
পরিচর্য্যা—সেবা, শুশ্রূষা।
চক্রান্ত—ষড়যন্ত্র, যুক্তি।
নিস্তেজ—বলহীন, দুর্ব্বল।
নিয়মিত—নিয়মমত।

পরামর্শ—যুক্তি, মন্ত্রণা।
প্রাণপণে-প্রাণান্ত স্বীকারে।
আলস্য—অলসতা, কুড়েমি।
ভক্ষ্যবস্তু—খাবার জিনিস।
সুস্থ-নীরোগ।
ভদ্রস্থতা—মঙ্গল, শুভ।






একচক্ষু হরিণ।

এক একচক্ষু হরিণ, সতত নদীর তীরে চরিয়া বেড়াইত। নদীর দিকে ব্যাধ আসিবার আশঙ্কা নাই এই স্থির করিয়া, নিশ্চিন্ত হইয়া, স্থলের দিকে ব্যাধ আসিবার ভয়ে, সে সতত সেই দিকে দৃষ্টি রাখিত। দৈবযোগে, এক দিবস, কোনও ব্যাধ নৌকায় চড়িয়া যাইতেছিল। সে দূর হইতে ঐ হরিণকে চরিতে দেখিয়া, উহাকে লক্ষ্য করিয়া,