পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
কথামালা

দুইটী করিয়া ডিম পাড়িবে, আর তাহা হইলে,সে সেই ডিম বিক্রয় করিয়া দ্বিগুণ অর্থ সঞ্চয় করিতে পারিবে। ভবিষ্যতে অধিক অর্থ উপার্জ্জন করিতে পারিবে এই আশায় উৎফুল্ল হইয়া, বিধবা সেই দিন হইতে সেই প্রিয় কুক্কুটীর আহারের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি করিয়া দিল। প্রথম দুই তিন দিন কুক্কুটী পূর্ব্ববৎ ডিম পাড়িল। কিন্তু তাহার পর অধিক আহারের ফলে ক্রমে যতই হৃষ্টপুষ্ট হইতে লাগিল, ততই দুই এক দিন অন্তর ডিম পাড়িতে লাগিল। শেষে কুক্কুটী এত অধিক হৃষ্টপুষ্ট হইয়া পড়িল যে, একেবারে ডিম পাড়া বন্ধ করিয়া দিল। তখন বিধবা কপালে করাঘাত করিয়া বলিল, “হায়! আমি বুদ্ধির দোষে লোভ করিতে গিয়া সব হারাইলাম।”

 অতি লোভ অনেক সময় অনিষ্টকর হইয়া থাকে।

বিধবা—স্বামিহীনা।
দরিদ্র-গরীব।
বিক্রয়লব্ধ—বিক্রয় করিয়া যাহা পাওয়া যায়।

কুক্কুটী-স্ত্রী-মোরগ।
প্রত্যহ—প্রতিদিন।






সিংহ, গর্দ্দভ ও শৃগালের শিকার।

এক সিংহ, এক গর্দ্দভ, এক শৃগাল, এই তিনে মিলিয়া শিকার করিতে গিয়াছিল। শিকার সমাপ্ত হইলে পর, তাহারা যথাযোগ্য ভাগ করিয়া লইয়া, ইচ্ছামত আহার করিবার মানস করিল। সিংহ, গর্দ্দভকে ভাগ করিতে