পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
কথামালা

দৌড়িয়াও তাহাকে ধরিতে পারিল না; খরগস, একেবারে দৃষ্টির বাহির হইয়া গেল। এক রাখাল, এই তামাসা দেখিতেছিল; সে উপহাস করিয়া বলিল, কি আশ্চর্য্য! খরগস অতি ক্ষীণ জন্তু হইয়াও, কুকুরকে, বেগে পরাজিত করিল। ইহা শুনিয়া, কুকুর বলিল, ভাই হে, প্রাণের ভয়ে দৌড়ান, আর আহারের চেষ্টায় দৌড়ান, এ উভয়ের কত অন্তর, তা তুমি জান না।

জঙ্গলে-বনে, কাননে, অরণ্যে।
দৃষ্টির-নজরের।
আশ্চর্য্য-চমৎকার, বিস্ময়।
পরাজিত-পরাস্ত, পরাভূত।

অতিবেগে—অত্যন্ত জোরে।
উপহাস-বিদ্রুপ, ঠাট্টা।
ক্ষীণ জন্তু-দুৰ্বল প্রাণী।
অন্তর- প্রভেদ, তফাৎ॥





}}


খরগস ও কচ্ছপ।

কচ্ছপ, স্বভাবতঃ অতি আস্তে চলে, এজন্য এক খরগস, কোন কচ্ছপকে উপহাস করিতে লাগিল। কচ্ছপ, খরগসের উপহাস বাক্য শুনিয়া, ঈষৎ হাসিয়া বলিল, ভাল, ভাই, কথায় কাজ নাই, দিন স্থির কর; ঐ দিনে দুজনে একসঙ্গে চলিতে আরম্ভ করিব; দেখা যাবে, কে আগে নিরূপিত স্থানে পঁহুছিতে পারে। খরগস বলিল, অন্য দিনের আবশ্যক কি; আইস, আজই দেখা যাউক; এখনই বুঝা যাইবে, কে কত চলিতে পারে।

 এই প্রতিজ্ঞা করিয়া, উভয়ে এককালে একস্থান