পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
কথামালা

নিমিত্ত, মৃত্যুর পূর্বক্ষণে বলিল, হে পুত্রগণ, আমি এক্ষণে ইহলোক হইতে প্রস্থান করিতেছি। আমার যে কিছু সংস্থান আছে, অমুক অমুক ভূমিতে সন্ধান করিলে পাইবে। পুত্রেরা মনে করিল, ঐ সকল ভূমির অভ্যন্তরে পিতার গুপ্তধন স্থাপিত আছে।

 কৃষকের মৃত্যুর পর, তাহারা গুপ্তধনের লোভে, সেই সকল ভূমি অতিশয় খনন করিল। এইরূপে যার পর নাই পরিশ্রম করিয়া, তাহারা গুপ্তধন কিছুই পাইল না বটে; কিন্তু ঐ সকল ভূমির অতিশয় খনন হওয়াতে সে বৎসর এত শস্য জন্মিল যে, গুপ্তধন না পাইয়াও তাহারা পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাইল।

কৌশল—ফন্দী, ফিকির।
ইহলোক—এই পৃথিবী।
অনুসন্ধান —অন্বেষণ, তল্লাস।
গুপ্ত—লুক্কায়িত, লুকান।
যার পর নাই—যৎপরোনাস্তি।

অবগত—জ্ঞাত, বিদিত।
সংস্থান—সঞ্চয়।
অভ্যন্তরে—মধ্যে, ভিতরে।
গুপ্তধনের—লুকান অর্থের।
সম্পুর্ণ—উপযুক্ত, আশানুযায়ী।






বৃদ্ধানারী ও চিকিৎসক।

এক বৃদ্ধানারীর চক্ষু নিতান্ত নিস্তেজ হইয়া গিয়াছিল; এজন্য তিনি কিছুই দেখিতে পাইতেন না। নিকটে এক প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ছিলেন। বৃদ্ধা,তাঁহার নিকটে গিয়া বলিলেন, কবিরাজ মহাশয়, আমার চক্ষুর দোষ জন্মিয়াছে,