পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা
৭৩

পরের মন্দ করিতে গেলে, আপনার মন্দ আগে হয়

নিকটবর্ত্তী—নিকটস্থ। আস্তে আস্তে-ধীরে ধীরে।

মহারাজ-রাজন্। প্রাণদান দেন—বাঁচান।

হস্তগত–আয়ত্ত। সম্পন্ন-শেষ, সমাধা।

কৃপণ।

এক কৃপণের কিছু সম্পত্তি ছিল। সর্ব্বদা তাহার এই ভয় ও ভাবনা হইত, পাছে চোরে ও দস্যুতে অপহরণ করে। এজন্য সে বিবেচনা করিল, যাহাতে কেহ সন্ধান না পায় ও চুরি করিতে না পারে, এরূপ কোনও ব্যবস্থা করা আবশ্যক। অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া, অবশেষে, সে সর্ব্বস্ব বেচিয়া ফেলিল, এবং একতাল সোনা কিনিয়া, নিভৃত স্থানে মাটিতে পুতিয়া রাখিল। কিন্তু এরূপ করিয়াও, সে নিশ্চিন্ত হইতে পারিল না; প্রতিদিন অবাধে, এক এক বার, সেই স্থানে গিয়া দেখিয়া আসিত, কেহ সন্ধান পাইয়া, লইয়া গিয়াছে কি না।

 কৃপণ, প্রত্যহ এইরূপ করাতে, তাহার ভৃত্যের মনে এই সন্দেহ জন্মিল, হয়ত, ঐ স্থানে প্রচুর গুপ্তধন আছে; নতুবা, উনি প্রতিদিন এক এক বার ওখানে যান কেন? পরে, একদিন সুযোগ পাইয়া, সেই স্থান খুঁড়িয়া, সে সোনার তাল লইয়া পলায়ন করিল। পরদিন যথাকালে কৃপণ ঐ স্থানে গিয়া দেখিল, কেহ গর্ত্ত খুঁড়িয়া, সোনার