পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৭).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা।
৬১

নিকটে উপস্থিত হইল, এবং আস্তে আস্তে কহিতে লাগিল, মহাশয়! যদি আপনি কৃপা করিয়া আমায় প্রাণদান দেন, তাহা হইলে, আমি গর্দ্দভকে আপনকার হস্তগত করিয়া দি। সিংহ সম্মত হইল। শৃগাল, কৌশল করিয়া, গর্দ্দভকে সিংহের হস্তগত করিয়া দিল। সিংহ, এই রূপে গর্দ্দভকে হস্তগত করিয়া লইয়া, শৃগালের প্রাণবধ করিয়া, সে দিনের আহার নির্বাহ করিল, গর্দ্দভকে পর দিনের আহারের জন্যে রাখিয়া দিল।

 পরের মন্দ করিতে গেলে, আপনার মন্দ আগে হয়।


হরিণ ও দ্রাক্ষালতা

ব্যাধগণে তাড়াতাড়ি করাতে, এক হরিণ, প্রাণভয়ে পলাইয়া, দ্রাক্ষালতার মধ্যে লুকাইয়া রহিল। ব্যাধেরা, তাহার সন্ধান না পাইয়া, দ্রাক্ষাবনের ধার দিয়া, চলিয়া যাইতে লাগিল। হরিণ মনে ভাবিল, ব্যাধগণ চলিয়া গিয়াছে, আর আমার কোনও ভয় নাই। এইরূপ স্থির করিয়া, সে স্বচ্ছন্দ মনে দ্রাক্ষালতা ভক্ষণ করিতে আরম্ভ করিল। ব্যাধেরা লতা ভক্ষণের শব্দ শুনিতে