দিলেন। সেই সেই নামীয় লোকগণ সেই সেই গ্রামে ঘৃত আনিবার জন্য গিয়াছে কি না সন্ধান করিতে অতি সত্বর লোক পাঠাইয়া দিয়া সাহেব নায়েবকে তাম্বুতে বসাইয়া রাখিলেন।
দূতগণ অপরাহ্ণে ফিরিয়া আসিয়া সাহেবকে জানাইল ঘৃত সংগ্রহের জন্য কেহ কোথাও যায় নাই। নায়েবের সমস্ত কথাই মিথ্যা এবং মেথর যে সত্য বলিয়াছে তাহাতে আর হাকিমের সন্দেহ রহিল না। তখন জয়েণ্ট সাহেব ক্রোধে গর্জ্জন করিয়া মেথরকে ডাকিয়া কহিলেন, এই শ্যালকের কর্ণ ধরিয়া তাম্বুর চারিধারে ঘোড়দৌড় করাও। মেথর আর কাল বিলম্ব না করিয়া চতুর্দ্দিকে লোকারণ্যের মধ্যে সাহেবের আদেশ পালন করিল।[১]
দেখিতে দেখিতে কথাটা ঘরে ঘরে রাষ্ট্র হইয়া গেল, হরকুমার গৃহে আসিয়া আহার ত্যাগ করিয়া মুমূর্ষুবৎ পড়িয়া রহিলেন।
জমীদারী কার্য্য উপলক্ষে নায়েবের শত্রু বিস্তর ছিল তাহারা এই ঘটনায় অত্যন্ত আনন্দলাভ করিল কিন্তু কলিকাতায় গমনোদ্যত শশিভূষণ যখন এই সংবাদ শুনিলেন তখন
- ↑ খুলনার ম্যাজিষ্ট্রেট্ কর্ত্তৃক মুহুরি মারার বহুপূর্ব্বে এই গল্প রচিত হইয়াছে। বেল্ সাহেবের সহৃদয় বদান্যতার বৃত্তাস্ত আমরা অনেক অব গত আছি, তাঁহার ন্যায় উদার প্রকৃতি ব্যক্তির বিরুদ্ধে কটাক্ষপাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নহে।