তাঁহার আদৌ স্বভাববিরুদ্ধ, কেবল শশিভূষণ নামে গ্রামের একটি অজাতশ্মশ্রু অপোগণ্ড অর্ব্বাচীন উকীল তাঁহাকে এক প্রকার না জানাইয়া এইরূপ স্পর্দ্ধার কাজ করিয়াছে। সাহেব শশিভূষণের প্রতি অত্যন্ত রিরক্ত এবং নায়েবের প্রতি বড় সন্তুষ্ট হইলেন এবং কহিলেন রাগের মাথায় নায়েব বাবুকে “ডণ্ড বিঢান” করিয়া তিনি “ডুঃ খিট্” আছেন। সাহের বাঙ্গালা ভাষার পরীক্ষায় সম্প্রতি পুরস্কার লাভ করিয়া সাধারণের সহিত সাধুভাষায় বাক্যালাপ করিয়া থাকেন।
নায়েব কছিলেন, মা বাপ কখনো বা রাগ করিয়া শাস্তি ও দিয়া থাকেন কখনও বা আদর করিয়া কোলেও টানিয়া লন, ইহাতে সন্তানের বা মা বাপের দুঃখের কোন কারণ নাই।
অতঃপর জয়েণ্ট্ সাহেবের সমস্ত ভৃত্যবর্গকে যথাযোগ্য পারিতোষিক দিয়া হরকুমার মফস্বলে ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের সহিত দেখা করিতে গেলেন। ম্যাজিষ্ট্রেট তাহার মুখে শশিভূষণের স্পর্দ্ধার কথা শুনিয়া কহিলেন, আমিও আশ্চর্য্য হইতেছিলাম যে, নায়েব বাবুকে বরাবর ভাল লোক বলিয়া জানিতাম, তিনি যে সর্ব্বাগ্রে আমাকে জানাইয়া গোপনে মিট্মাট্ না করিয়া হঠাৎ মকদ্দমা আনিবেন একি অসম্ভব ব্যাপার! এখন সমস্ত বুঝিতে পারিতেছি।
অবশেষে নায়েবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, শশি কন্গ্রেসে যোগ দিয়াছে কি না। নায়েব অম্লানমুখে বলিলেন হাঁ।