সাহেবদিগকে সেলাম করিতে গেলেন পুলিস সাহেব হাসিয়া কহিলেন, নায়েব বাবু শুনিতেছি তোমার প্রজারা পুলিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত হইয়াছে। নায়েব সচকিত হইয়া কহিলেন, হাঁ! এও কি কখনো সম্ভব হয়? অপবিত্র জন্তুজাত পুত্রদিগের অস্থিতে এত ক্ষমতা!
সংবাদপত্র পাঠকেরা অবগত আছেন মকদ্দমায় শশিভূষণের পক্ষ কিছুতেই টিঁকিতে পারিল না।
জেলেরা একে একে আসিয়া কহিল, পুলিস সাহেব তাহদের জাল কাটিয়া দেন নাই; বোটে ডাকিয়া তাহাদের নাম ধাম লিখিয়া লইতেছিলেন।
কেবল তাহাই নহে, তাঁহার দেশস্থ গুটিচারেক পরিচিত লোক সাক্ষ্য দিল যে, তাহার সে সময়ে ঘটনাস্থলে বিবাহের বরযাত্র উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিল। শশিভূষণ যে, অকারণে অগ্রসর হইয়া পুলিসের পাহারাওয়ালাদের প্রতি উপদ্রব করিয়াছে তাহা তাহারা প্রত্যক্ষ দেখিয়াছে!
শশিভূষণ স্বীকার করিলেন, যে, গালি খাইয়া বোটের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তিনি সাহেবকে মারিয়াছেন। কিন্তু জাল কাটিয়া দেওয়া ও জেলেদের প্রতি উপদ্রবই তাহার মূল কারণ।
এরূপ অবস্থায়, যে বিচারে শশিভূষণ শাস্তি পাইলেন তাহাকে অন্যায় বলা যাইতে পারে না। তবে শাস্তিটা কিছু গুরুতর হইল। তিন চারিটা অভিযোগ, আঘাত, অনধিকার