তাহার মধ্য হইতেও দুটা একটা করিয়া তোড়া অদৃশ্য হইতে লাগিল। নিবারণ স্থির করিত আগামী মাসের বেতন হইতে আস্তে আস্তে শোধ করিয়া রাখিব। কিন্তু আগামী মাসের বেতনটি হাতে আসিবামাত্র সেই আবর্ত্ত হইতে টান পড়ে এবং শেষে দুআনীটি পর্য্যন্ত চকিতের মত চিক্মিক্ করিয়া বিদ্যুৎ-বেগে অন্তর্হিত হয়।
শেষে একদিন ধরা পড়িল। পুরুষানুক্রমের চাকুরি; সাহেব বড় ভালবাসে; তহবিল পূরণ করিয়া দিবার জন্য দুইদিনমাত্র সময় দিল।
কেমন করিয়া যে ক্রমে ক্রমে আড়াই হাজার টাকার তহবিল ভাঙ্গিয়াছে তাহা নিবারণ নিজেই বুঝিতে পারিল না। একেবারে পাগলের মত হইয়া হরসুন্দরীর কাছে গেল, বলিল, “সর্ব্বনাশ হইয়াছে!”
হরসুন্দরী সমস্ত শুনিয়া একেবারে পাংশুবর্ণ হইয়া গেল!
নিবারণ কহিল, “শীঘ্র গহনাগুলা বাহির কর।” হরসুন্দরী কহিল, “সে ত আমি সমস্তই ছোটবৌকে দিয়াছি!”
নিবারণ নিতান্ত শিশুর মত অধীর হইয়া বলিতে লাগিল, “কেন দিলে ছোটবোঁকে? কেন দিলে? কে তোমাকে দিতে বলিল?”
হরমুন্দরী তাহার প্রকৃত উত্তর না দিয়া কহিল, “তাহাতে ক্ষতি কি হইয়াছে? সে ত আর জলে পড়ে নাই?”
ভীরু নিবারণ কাতর স্বরে কহিল, “তবে যদি তুমি কোন