এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কথা
৩৫
নিরাশ্বাসে। তাঁহারে ধরিল চোর বলি’;
হস্তে পদে বাঁধি তার লোহার শিকলি
লইয়া চলিল বন্দীশালে।
সেইক্ষণে
সুন্দরী-প্রধানা শ্যামা বসি বাতায়নে
প্রহর যাপিতেছিল— আলস্য কৌতুকে
পথের প্রবাহ হেরি';– নয়নসম্মুখে
স্বপ্নসম লোকযাত্রা। সহসা শিহরি’
কাঁপিয়া কহিল শ্যামা,—আহা মরি মরি
মহেন্দ্রনিন্দিত কান্তি উন্নতদর্শন
কারে বন্দী ক’রে আনে চোরের মতন
কঠিন শৃঙ্খলে। শীঘ্র যা’লো সহচরী
বল্গে নগরপালে মোর নাম করি—
শ্যামা ডাকিতেছে তারে; বন্দী সাথে ল’য়ে
একবার আসে যেন এ ক্ষুদ্র আলয়ে
দয়া করি'। —শ্যামার নামের মন্ত্রগুণে
উতলা নগররক্ষী আমন্ত্রণ শুনে
রোমাঞ্চিত; সত্বর পশিল গৃহমাঝে
পিছে বন্দী বজ্রসেন নতশির লাজে
আরক্ত কপোল। কহে রক্ষী হাস্যভরে—
অতিশয় অসময়ে অভাজনপরে