বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কথা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৬
কথা

অযাচিত অনুগ্রহ,—চলেছি সম্প্রতি
রাজকাজে,—সুদর্শনে, দেহ অনুমতি।
বজ্রসেন তুলি শির সহসা কহিলা—
একি লীলা, হে সুন্দরী, একি তব লীলা।
পথ হতে ঘরে আনি কিসের কৌতুকে
নির্দোষী এ প্রবাসীর অবমানদুখে
করিতেছ অবমান।—শুনি শ্যামা কহে,
হায় গো বিদেশী পান্থ কৌতুক এ নহে।
আমার অঙ্গেতে যত স্বর্ণ অলংকার
সমস্ত সঁপিয়া দিয়া শৃঙ্খল তোমার
নিতে পারি নিজ দেহে; তব অপমানে
মোর অন্তরাত্মা আজি অপমান মানে।
এত বলি সিক্তপক্ষ্ম দুটি চক্ষু দিয়া
সমস্ত লাঞ্ছনা যেন লইল মুছিয়া
বিদেশীর অঙ্গ হতে। কহিল রক্ষীরে
আমার যা আছে ল’য়ে নির্দোষী বন্দীরে
মুক্ত ক’রে দিয়ে যাও —কহিল প্রহরী
তব অনুনয় আজি ঠেলিনু সুন্দরী
এত এ অসাধ্য কাজ। হৃত রাজকোষ,
বিনা কারো প্রাণপাতে নৃপতির রোষ
শান্তি মানিবে না।—ধরি প্রহরীর হাত
কাতরে কহিল শ্যামা,—শুধু দুটি রাত