বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কথা ও কাহিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পূজারিনী
৩৫

শারদ নিশির স্বচ্ছ তিমিরে
 তারা অগণ্য জ্বলে।
সিংহদুয়ারে বাজিল বিষাণ,
বন্দীরা ধরে সন্ধ্যার তান,
মন্ত্রণাসভা হল সমাধান”
 দ্বারী ফুকারিয়া বলে।


এমন সময়ে হেরিলা চমকি
 প্রাসাদে প্রহরী যত-
বাজার বিজন কাননমাঝারে
স্তূপপদমূলে গহন আঁধারে
জ্বলিতেছে কেন যেন সারে সারে
 প্রদীপমালার মতাে!


মুক্তকৃপাণে পুররক্ষক
 তখনি ছুটিয়া আসি
শুধালাে, “কে তুই ওরে দুর্মতি,
মরিবার তরে করিস আরতি।”
মধুর কণ্ঠে শুনিল, “শ্রীমতী,
 আমি বুদ্ধের দাসী।”