পাতা:কথা বনাম কাজ - প্রমথনাথ রায়চৌধুরী.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বনাম কাজ বলেন, আমরা এখন পীড়নই চাই, তাহারা ভারি ভুল করেন। আমাদের মত অধীনের উপর জুলুমের মাত্রা যে বহুদূর চড়িতে পারে, ঝোকের মাথায় তা ভাবিয়া দেখেন না ! সে চাপে আমাদের কচি জাতীয়তা নিষ্পেষিত হইয়া যাইতে পারে! আমরা তা হইতে দিতে পারি না। সেই আত্মরক্ষার জন্ত দ্বন্দ্ব চাই। যখন কেহ উৎপাত করিবার ছিল না, তখন শান্তিমন্ত্র শুনাইত ভালো ! পরের পয়জার খাওয়াই གི་ নিজের চৈতন্ত লাভের একমাত্র উপায় স্থির হইয়া থাকে, তবে ধিক সেই আন্দোলনশ্রান্ত বাঙ্গালী বহুবার ভগ্নমনোরখে ঘরে ফিরিয়া ঘুমাইয়াছে। তাই নৈরাশুপীড়িত রবীন্দ্রনাথ পরম বন্ধুর মত এবার আগেই সতর্ক করিতেছেন,—এখন আমাদের ঘরে ফিরিয়া কাজ করিবার সময় আলিয়াছে।—তথাস্ত। কিন্তু বাহিরের সমস্ত আপদকে, রাজসভার সমস্ত ষড়যন্ত্রকে অবাধে পুষ্ট হইতে দিলে, ঘরের আয়োজন কোন অশরীরী স্বপ্নের সেবায় লাগিবে ? গোরার দরবারে যখন কালার কোন বিশেষ অধিকার হরণের চক্রান্তচক্ৰ চলিবে, আর তাহাতে সন্ত্রদেশু আরোপিত করিয়া ফিরিঙ্গীর কাগজগুলা আমাদিগকে কৃতজ্ঞ ও রাজভক্তিমান হইবার জন্য ক্ষতে লবণ নিষেক করিবে, সেই স্পৰ্দ্ধা, সেই নিহিত ব্যঙ্গ স্বচ্ছদে গলাধঃকরণ করিয়া যদি আমরা স্ববোধের মত অবাক-স্বৈর্ঘ্যে তাড়াতাড়ি স্বদেশী ব্যায়ামাগারের ভিত্তি স্থাপন করিয়া তাহার প্রতিশোধ লই, তাহাতে আওয়াজ যথেষ্ট হইবে, এবং তাহা কঁকা নাও श्हेल्ङ পারে ; কিন্তু ঠিক লক্ষ্যটা ভেদ হইবে না। বাহিরে গভীর গর্জন করিলেই যে ঘরের নীরব অর্জনে বাধা হইবে, এরূপ আশঙ্কার কোন সঙ্গত কারণ নাই। দুই-ই চালাইতে হইবে। একের দ্বার জন্যের সফলতার সহপায় হইবে।