পাতা:কথা বনাম কাজ - প্রমথনাথ রায়চৌধুরী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বনাম কাজ হে ইসলাম-পতাকাবাহী মহিম জাতি, তোমরা যে আঁধারে ডুবিতেছিলে, তাহা তোমাদের অনেকের চোখে ধরা পড়িয়াছে। তোমাদের উদ্দেশে চিরোচ্চারিত সাবধান স্তোক্বাক্য সেদিন সৰ্ব্বপ্রধান রাজপুরুষের । বাগাড়ম্বরে সহসা আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল! তা কি বিস্মৃত হইয়াছ ? : তোমাদের চৈতন্তলাভের সময় আসিয়াছে। ছিদ্রান্বেষীর বিদ্বেষবিষাক্ত । ভেদবুদ্ধি ভুলিয়া আপন জননীর নিকট ঐক্যমন্ত্র গ্রহণ কর। মাতা তোমাদিগকে প্রাণ ভরিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিবেন। সেই সৰ্ব্বগ্রানিহর । माङ्আশীৰ্ব্বাদে তোমাদের সকল শূন্ত পূর্ণ হইয়া যাইবে । তবে এস, হে সমবেত হিন্দুমুসলমান, তোমাদের সুপ্ত শক্তিকে আজ উদ্ধৃদ্ধ ও লুপ্ত সাধনাকে উদ্দীপ্ত করিয়া এস। আজ বড় নিদারুণ দিন । তোমর অনেক অবিচার-অত্যাচারে ক্ষত-বিক্ষত হইয়াছ, কিন্তু এমন মৰ্ম্মস্থলে আর কখনও আহত হও নাই! ঐ যে প্রাসাপ্রেরিত স্পৰ্দ্ধিত জয়ধ্বজ রাজাদেশ বহন করিয়া আমাদের কুটারে কুটারে পরাজয়কে । ব্যঙ্গ করিয়া ফিরিতেছে, সেদিকে যেন আমরা দৃকপাতও না করি। আজিকার শোক যেন জলন্ত অশ্রুকে কঠিনীভূত করিয়া অগ্নিস্ফলিঙ্গে পরিণত করে। একটা ধারাল কলমের খোচায় যেন আমরা ভাগ হইয়া না যাই! এই অস্বাভাবিক বিচ্ছেদে পুরুষানুক্রমিক বন্ধন যেন দৃঢ়তর ও প্রগাঢ়তর হয়। আহত হইয়াও যেন আমরা অব্যাহত থাকিতে পারি ; নৈরাষ্ঠে যেন নিৰ্ব্বাপিত হইয়া না যাই ! যে ঔষধের গুণে চোঁদপুরুষ পরের জুতা ও গু তাকে অক্লেশে পরিপাক করিয়া আসিতেছি, এবার অদৃষ্টবাদের সেই হজমীগুলিটা বুলি ঝাড়িয়া বিদায় করিব! তবেই জননীর অমৃতপ্রলেপ আমাদের গভীর ক্ষতকে অচিরে জুড়িতে সক্ষম হইবে। তবে উখিত হও! জাগ্রত হও! সমস্ত দেশকে তোমরা এমন উত্তপ্ত করিয়া রাথ, যেন স্বেচ্ছাচারী রাজভৃত্যগণ তাহা হইতে কোন রস—কোন আরাম > 。