পাতা:কথা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
কথা

শূন্য নগরী নিরখি নীরবে
 হাসিছে পূর্ণচন্দ্র।
নির্জন পথে জ্যোৎস্না আলােতে
 সন্যাসী একা যাত্রী।
মাথার উপরে তরুবীথিকার
কোকিল কুহরি উঠে বারবার,
এতদিন পরে এসেছে কি তাঁর
 আজি অভিসার রাত্রি?
নগর ছাড়ায়ে গেলেন দণ্ডী
 বাহির প্রাচীর প্রান্তে।
দাঁড়ালেন আসি পরিখার পারে,
আম্রবনের ছায়ার আঁধারে,
কে ওই রমণী পড়ে এক ধারে
 তাঁহার চরণােপান্তে!
নিদারুণ রােগে মারী-গুটিকায়
 ভরে গেছে তার অঙ্গ।
রােগমসী ঢালা কালী তনু তার
লয়ে প্রজাগণে, পুর-পরিখার
বাহিরে ফেলেছে, করি পরিহার
 বিষাক্ত তার সঙ্গ।
সন্যাসী বসি আড়ষ্ট শির
 তুলি নিল নিজ অঙ্কে।
ঢালি দিল জল শুষ্ক অধরে,
মন্ত্র পড়িয়া দিল শিরপরে,