পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ কপালকুণ্ডলা । উপস্থিত হয় । নবকুমার চিন্তা করিতে করিতে তন্ত্রাভিভূত হইলেন । বোধ হয়, যদি এরূপ নিয়ম না থাকিত, তবে সাংসারিক ক্লেশের অপ্রতিহত বেণ, সকলে সকল সময়ে সহ্য করিতে পীরিত লল । fossmos চতুর্থ পরিচ্ছেদ । ভূণশিখরে ! -“সবিস্ময়ে দেখিল। অদূরে, ভীষণ-দর্শন-মূৰ্ত্তি । ” মেধনী - ৪ যখন নবকুমারের নিদ্রাভঙ্গ হইল, তখন রজনী গভীর" ? এখনও যে র্তাহীকে ব্যাস্ত্রে হত্যা করে নাই, ইহা ভঁাছার আশ্চৰ্য্য বোধ হুইল । ইতস্ততঃ নিরীক্ষণ করিয়া দেখিতে লাগিলেন বাণত্র আসিতেছে কি না। অকস্মাৎ সম্মুখে, বহু দূরে, একটা আলোক দেখিতে পাইলেন । পাছে ভ্ৰম জন্মিয় থাকে, এজন্য নবকুমার মনোভিনিবেশ পূর্বক তৎপ্রতি দৃষ্টি করিতে লাগিলেন। আলোকপরিধি ক্রমে বৰ্দ্ধিভায়তন এবং উজ্জ্বলতর হইতে লাগিল— অtগ্নেয় আলোক বলিয়া প্রতীতি জন্মাইল । প্রতাভি মাত্র নবকুমারের জীবনাশী পুনৰুদীপ্ত হুইল । মনুষ্য সমাগম ব্যতাত এ আলোকের উৎপত্তি সম্ভবে না । নবকুমার গাত্রেীথান করিলেন । যথায় আলোক, সেই দিকে, ধাবিত হইলেন । একবার মনে ভাবিলেন, “ এ আলোক ভৌতিক ?—হইতেও পারে, কিন্তু শঙ্কায় নিরস্ত থাকিলেই কোন জীবন রক্ষণ হয় ? ” এই ভাবিয়া 'নিৰ্ভীকচিত্তে আলোক লক্ষ্য করিয়া চলিলেন । ৱক্ষ, লভ, বালুকাস্তুপ পদে পদে র্ডাহার গতিরোধ করিতে লাগিল । বৃক্ষলতা দলিত, করিয়া, বালুকাস্তুপ লঙ্ঘিত করিয়া