8 কপালকুণ্ডলা । ইহ শুনয় নৌকারোহীদিগেব অব ও কোলাহল বৃদ্ধি হইল। নব্য যাত্রী কোন মতে তাহাদিগকে স্থির কবি। নালিকদিগকে কহিলেন, “ আশঙ্কার বিষ্য কিছুষ্ট নাই, প্রভাত হইয়াছে--চারি পাঁচ দণ্ডের মধ্যে অবশু স্বৰ্য্যোদয হুইবেক • চারি পাচ দণ্ডের মধ্যে নৌকা কদাচ মারা যাইবে না। তোমর্শ এক্ষণে বাহন বন্ধ কর, স্রোতে নৌকা যথায় যায় যাক ; পণং রৌদ্র হইলে পরামর্শ করা যাইবে।” নাবিকেবা এই পরামর্শে সম্মত হইয়া তদনুরূপ আচরণ করিতে লাগিল । অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত নাবিকেরা নিশ্চেষ্ট হইয়া বহিল। যাত্র"। ভয়ে কণ্ঠীগত প্রাণ। ৰাযুমাত্র নাই, মতবাং ঠাচ বা তবঙ্গান্দোলনকম্প কিছুই জানিতে পারলেন না । তথাপি সকল্পেষ্ট মৃত্যু নিকট নিশ্চিত করিলেন । পুরুষেবা নিঃশব্দে দুর্গানাম জপ করিতে লাগিলেন,স্ত্রীলোকের মুব তুলির বিবিধ শব্দবিদ্যাগে কঁদিতে লাগিলেন । একটী স্ত্রীলোক গঙ্গাসাগবে সপ্ত' না বিসর্জন কবিয়া আসিয়াছিল ছেলে জলে দিয়া ম'ব তুলিতে পাবে নাই,—সেই কেবল কঁ দিল না । প্রতীক্ষা, ফরিতে করতে অনুভবে লেলা প্রায় এক প্রস্তব হইল। এমত সময়ে অকস্মাৎ, নালিকে বা দবি যাব পাচ পীলেৰ নামকীৰ্ত্তন করিয়া মহা কোলাহল করিয়া উঠিল । যাত্রাপ সকলেই জিজ্ঞাসা করিয়া উঠিল “ কি ! কি ! মাঝি কি হইয়াছে ?" মাঝিরাও একবাক্যে কোলাহল করিয়া কহিতে লাগিল “८ब्रान खैर*८झ ! ८ब्रान उँt?रछ् ! छांत्र ! ऊात्र ! ऊांत्री ।” যাত্রীরা সকলেই ঔৎসুকjসহকারে নৌকার বাহিরে আসিয়া কোথায় আসিয়াছেন কি বুন্তান্ত দেখিতে লাগিলেন। দেগি লেন স্বৰ্গ প্রকাশ হইয়াছে। কুজৰাটিকার অন্ধকার রাশি হইতে
পাতা:কপালকুণ্ডলা (চতুর্থ সংস্করণ).pdf/১১
অবয়ব