পাতা:কপালকুণ্ডলা (দ্বিতীয় সংস্করণ).pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শয়নাগারে।
১১৫

 কোন কোন পাঠক এ গ্রন্থশেষ পাঠ করিয়া ক্ষুণ্ণ হইতে পারেন। বলিতে পারেন, “এরূপ সমাপ্তি সুখের হইল না; গ্রন্থকার অন্যরূপ করিতে পারিতেন।” ইহার উত্তর, “অদৃষ্টের গতি। অদৃষ্ট কে খণ্ডাইতে পারে? গ্রন্থকারের সাধ্য নহে। গ্রন্থারম্ভে যেখানে যে বীজ বপন হইয়াছে, সেই খানে সেই বীজের ফল ফলিবে। তদ্বিপরীতে সত্যের বিঘ্ন ঘটিবে।”

 এক্ষণে আমরা অদৃষ্টগতির অনুগামী হই। সূত্র প্রস্তুত হইয়াছে; গ্রন্থিবন্ধন করি।


দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

শয়নাগারে।

রাধিকার বেড়ি ভাঙ, এ মম মিনতি।

ব্রজাঙ্গনা কাব্য।

লুৎফ্-উন্নিসা আগ্রা গমন করিতে, এবং তথা হইতে সপ্তগ্রাম আসিতে প্রায় এক বৎসর গত হইয়াছিল। কপালকুণ্ডলা এক বৎসরের অধিক কাল নবকুমারের গৃহিণী। যে দিন প্রদোষ কালে লুৎফ-উন্নিসা কাননে, সে দিন কপালকুণ্ডলা অন্য মনে শয়নকক্ষে বসিয়া আছেন।