মাতার অধিক তোমাকে স্নেহ করি। আমার ভিক্ষা অবহেলা করিবে না?”
কপা। “করিব না।”
অধি। “আমার এই ভিক্ষা, তুমি আর সেখানে ফিরিয়া যাইও না।”
কপা। “কেন?”
অধি। “গেলে তোমার রক্ষা নাই।”
কপা। “তাহা ত জানি?”
অধি। “তবে আবার জিজ্ঞাসা কর কেন?”
কপা। “না গিয়া কোথায় যাইব?”
অধি। “এই পথিকের সঙ্গে দেশান্তরে যাও।”
কপালকুণ্ডলা নীরব হইয়া রহিলেন। অধিকারী কহিলেন, “মা কি ভাবিতেছ?”
কপা। “যখন তোমার শিষ্য আসিয়াছিল, তখন তুমি কহিয়াছিলে, যে, যুবতীর এরূপ যুবা পুৰুষের সহিত যাওয়া অনুচিত; এখন যাইতে বল কেন?”
অধি। “তখন তোমার জীবনের আশঙ্কা করি নাই, বিশেষ যে সদুপায়ের সম্ভাবনা ছিল না, এখন সে সদুপায় হইতে পারিবেক। আইস মায়ের অনুমতি লইয়া আসি।”
এই বলিয়া অধিকারী দীপহস্তে দেবালয়ের দ্বারে গিয়া দ্বারোদ্ঘাটন করিলেন। কপালকুণ্ডলাও তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে গেলেন। মন্দির মধ্যে মানবাকারপ্রমাণা করালকালীমূর্ত্তি সংস্থাপিতা ছিল। উভয়ে ভক্তিভাবে প্রণাম করিলেন। অধিকারী, আচমন করিয়া পুষ্পপাত্র