পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Mòtro o কবিকঙ্কণ-চণ্ডী সোম আনিতে গেলেন। সকলেই অকৃতকাম হইলেন, কেবল গায়ত্রী সোম আনিতে পারিলেন । কিন্তু আসিবার সময় কৃশানু নামে একজন সোমপালের নিঃক্ষিপ্ত তীবে তিনি আহত হন এবং তঁাহার বামপদের একটি নখর ছিন্ন হয়। শতপথ-ব্ৰাহ্মণ ও তৈত্তিরীয় সংহিতার আখ্যায়িকাগুলি হইতে পুরাণের কাহিনীর ভিত্তি আরও স্পষ্টরূপে বুঝা যায়। ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণে ( ৬১ ) দেখা যায় কাদ্রিবেয় ( কন্দ্রী-পুত্ৰ) অৰ্ব্বাদ নামক সর্পদেহ মহর্ষি সোমাভিযবের সময় গ্ৰাব বা পাষাণখণ্ডের স্তুতিপাঠ করিতেন । শতপথ-ব্ৰাহ্মণে সপরিাজ একজন অৰ্ব্ব দেব নাম পাওয়া যায়। অথৰ্ব্ববেদে অৰ্ব্বদির নাম পাওয়া যায়। ভাষ্যে তঁহাকে সৰ্প-ঋষি অৰ্ব্বদের পুত্র বলা হইয়াছে। শতপথ-ব্রাহ্মণ ও তৈত্তিবীয় সংহিতায়ও কন্দ্র রমণী । পৌরাণিক কন্দ্র-কাহিনীতে সম্ভবতঃ সর্পদেহ ঋষি কাদ্রিবেয়া অৰ্ব্বদ (ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণ ) ও সর্পরাজ কাদ্রিবেয় অৰ্ব্বদ ( শতপথ-ব্ৰাহ্মণ ) দুইয়েব কাহিনী মিশিয়া গিয়া কদ্রু সর্পজননীতে পরিণত হইয়াছেন । অৰ্ব্বাদ নামে কদ্রুপুত্ৰ এক সৰ্পের নামও পাওয়া যায়। কক্রর নাম ও অশ্বের আখ্যায়িকার উল্লেখ শতপথ-ব্ৰাহ্মণে আছে। ঐ পুস্তকে আছে, দেবগণেব ইচ্ছা হইল যে সোম আকাশ হইতে র্তাহাদেব নিকটে আসেন। সেইজন্য তঁাহারা সুপিণী ও ক দ্রু নামে দুইটি মায়া সৃজন করিলেন । দুই জনের মধ্যে কলহ হয় । অবশেষে স্থির হইল তাহদের মধ্যে যিনি অধিক দূরে দৃষ্টি নিক্ষেপ কবিতে পাবিবেন, তিনিই অপরকে লাভ করিতে পরিবেন । সুপণী বলিলেন, “সলিলরাশির পাবে যুপকাষ্ঠে বদ্ধ একটি শ্বেত অশ্ব বহিয়াছে।” ক দ্রুর দৃষ্টিশক্তি আরও তীক্ষ, তিনি অশ্ব ত দেপিলেনই, তাহাব পাব তাহার পবনে আন্দোলিত পুচ্ছ ও দেখিলেন । সুপণী গিয়া দেখিয়া আসিলেন কন্দ্রব্রুর কথাই সত্য । কন্দ্রব্রু বলিলেন, “দিব্যলোকে সোন রহিয়াছে, তুমি তাহা আনিয়া মুক্তিলাভ কর।” সুপণী ছন্দসকলকে প্রসব করিলেন, এবং গায়ত্রী স্বৰ্গ হইতে সোম আহরণ করিলেন, সুপিণী মুক্তিলাভ করিলেন (৩৬২৷৷২-৯, ১৫ ) । ঐ স্থলেই বলা হইয়াছে সুপণী বাক । সুতরাং তিনিই ছন্দো জননী । যখন গায়ত্রী সোম আনিতেছিলেন তখন পদরাহিত একজন তীর-নিঃক্ষেপক তঁহার একটি পালক বা সোমের একটি পত্র ছেদন করিয়াছিলেন ( ৩৩,৪১০ ) । পৰ্ণ বলিতে পালক ও বৃক্ষপত্র দুই-ই হয় । তৈত্তিরীয় সংহিতায়ও এই বিবরণ আছে ( ৬১৬ ) । তথায় উল্লেখ আছে যে কাহার রূপ অধিক ইহা লইয়া কদ্রু ও সুপণীর মধ্যে কলহ হইয়াছিল । পৌরাণিক গরুড়-কাহিনীর পূর্ণ বিকাশ মহাভারতে। স্কন্দপুরাণের কাশীখণ্ড ব্ৰাহ্মখণ্ড ও নাগরখণ্ড হইতেও গরুড়ের কাহিনী পাওয়া যাইতে পারে । আদিপর্কের্য