পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\r কবিকঙ্কণ-চণ্ডী করিবার পূর্বেই ইন্দ্ৰ তাহা হরিণ করিলেন। নাগগণ শূন্য কুশ লেহন করিয়া খণ্ডজিহব হইল । ঐতরেয় ও শতপথ-ব্ৰাহ্মণে আছে গায়িত্রী সোম আনিয়াছিলেন । গায়িত্রীর সহিত সুৰ্য্যের সম্পর্ক আছে। বেদ- ও পুরাণ-অনুসারে সুৰ্য্যের রথে সাতটি অশ্ব । ইহাব পৌরাণিক ব্যাখ্যা -গায়িত্রীপ্রমুখ সাতটি ছন্দই সুৰ্য্যের সাত অশ্ব । এখনও গায়িত্রীমস্ত্ৰ যাহা পাঠ করা হয় তাহা সুৰ্য্যেরই স্তব । বৈদিক যুগে সোমের সহিত গায়িত্রীব সম্পর্ক-সম্বন্ধে একজন পণ্ডিতের মত-গায়িত্রীচ্ছন্দে সুক্ত উচ্চারণ করিতে করিতে পৰ্ব্বত-প্ৰদেশ হইতে সোমকে আনয়ন করা হইত। । ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণ হইতে জানা যায় যে সোমের প্রাতঃসবনে গায়িত্রীচ্ছন্দের প্রয়োজন হইত। গায়িত্রী-কর্তৃক সোমআনয়নের আখ্যায়িকাই যে গৰুড়ের কাহিনীর মূল তাহা পুরাণের যুগেও লোকে বিস্মৃত হয় নাই । বৈদ্যগ্রন্থে সোমলতার বিভিন্ন নামগুলির মধ্যে গরুড়ান্সত ও গায়ত্রী নামও পাওয়া যায় । বায়ুপুরাণের মতে ( ৬৯ অঃ ) গায়িত্রী আদি ছন্দ বিনতার সন্তানগণের মধ্যে পবিগণিত ; এই বিনতাই সুতরাং ছন্দোজননী বা বাকি বা সুপণী । অধিকাংশ পুরাণে সুপণী নাম নাই, তাহার স্থলে বিনতা আছে। মহাভারতে স্কন্দের জন্মবৃত্তান্ত-প্রসঙ্গে বিনতাকে ‘সুপণী” আখ্যা দেওয়া হইয়াছে। শ্ৰীমদ্ভাগবতে আছে তাক্ষ্যের ( কশ্যপের ) চারি পত্নী-বিনতা, কদ্র, পতঙ্গী, যামিনী ; তন্মধ্যে সুপর্ণা ( বিনতা )। গরুড়কে প্রসব করেন । মনে হয়, বৃহদেবতা ও মহাভারতে সুপণী স্থলে বিনতার নাম প্ৰথম উল্লিখিত হইয়াছে । বৃহদেবতাগ্রন্থে কশ্যপের ত্ৰিয়োদশ পত্নী ( नक्कछ। )র মধ্যে বিনতার সহিত কদ্রব্রুরাও নাম পাওয়া যায় এবং কশ্যপেৰ পত্নীগণ হইতে গন্ধৰ্ব্ব সৰ্প রাক্ষস পক্ষিগণ উৎপন্ন श्रेष्ब्रांछिळ उश्t७ दलाँ शक्षेिब्रुitछ । গরুড়ের সহিত অমৃত্যুরক্ষকদিগের যুদ্ধ হইয়াছিল। মহাভারতের এই স্থলে গন্ধৰ্ব্ব ও অগ্নিব উল্লেখ আছে। ইহাও বৈদিক উপাখ্যানের স্মৃতির ভগ্নাবশেষ । ঋগ্বেদে বলা হইয়াছে গন্ধৰ্ব্বগণ সোমের রক্ষক ; অন্যত্ৰ আছে। অগ্নি সোমের রক্ষক ( ১০৪৫৷৷৫ ) । গন্ধৰ্ব্বগণ বাণীনিক্ষেপকারী, ইহারও উল্লেখ আছে। বেদে ও DBDuDuBL BDBBDBD BB DBLYS DD LEBB KDDuD KBDBDB D DDBB DDS DBBDS ছিল । মহামতি সায়ণাচাৰ্য্যের মতে কৃশানু একজন সোমরক্ষক গন্ধৰ্ব্ব । তঁাহার সহিত গরুড়ের প্রতি বঞ্জনিঃক্ষেপকারী ইন্দ্রের কোন সম্বন্ধ নাই। ঋগ্বেদে একস্থলে কৃশানুকে দেব বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। অভিধানে কৃশানু, অগ্নির একটি নাম ; বায়ুপুরাণে কৃশানুকে ‘সম্রাড়গ্নি’ বলা হইয়াছে। গরুড় অমৃত আনিয়া কুশের উপর রক্ষা করিয়াছিলেন। বৈদিক যুগে সোমকে