পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. У е কবিকঙ্কণ-চণ্ডী রুদ্রপত্নী। এই আরণ্যকে ( ১০। ১ ) আবার দুৰ্গাদেবীর আরাধনা আছে। সেইখানে তিনি বৈরোচনী। বিরোচন সূৰ্য্য বা অগ্নির নাম। অন্যত্ৰ ( ১০।১৭ ) যেখানে অগ্নিকে সম্বোধন করা হইয়াছে, সেখানে দুর্গার ( দুগির) আরও দুইটি নাম আছে-একটি কাত্যায়নী, অপরটি কন্যকুমারী। কেনোপনিষদে। (৩২৫ ) পাওয়া যায়, ব্ৰহ্মজ্ঞা দেবী হিমবানের কন্যা উমা । তৈত্তিবীয় আরণ্যকে (১০|১৮) রুদ্রকে ‘উমাপতি বলা হইয়াছে। এই আরণ্যকে ( ১০৷৷২৬৩০ ) সরস্বতীকে বরদা মহাদেবী সন্ধ্যাবিদ্যা নামে অভিহিত করা হইয়াছে। পরে আবাব এগুলিকে দুৰ্গাদেবীর গুণরূপে প্ৰযুক্ত হইতে দেখা যায়। বৈদিক যুগ হইতে পবযুগেব সাহিত্য আলোচনা করিয়া জানিতে পারা যায় যে, বৈদিক যুগে দুৰ্গা-তত্ত্বোব আবন্ত হইয়া বামায়ণ-মহাভাবত যুগে ইহা সম্পূর্ণ হয়। ( যমুনা, কাৰ্ত্তিক ১৩৩০ ) শ্ৰীঅমূল্যচবণ বিদ্যাভূষণ । শক্তি শব্দের যৌগিক অর্থ ক্ষমতা বা সামর্থ্য । “যা দেবী সৰ্ব্বভুতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা” --দেবীমাহাত্ম্য, চণ্ডী । বাজাদেব তিন প্ৰকাব শক্তি-প্ৰভু শক্তি, মন্ত্রশক্তি ও উৎসাহ শক্তি। আবার শব্দের অর্থবোধা নুকুল বৃত্তিবিশেষেব নাম শক্তি। এই শব্দশক্তির জ্ঞান ব্যাকরণ উপমান অভিধান আপুবাক্য ও ব্যবহাব দাবা উৎপন্ন হয় । অথর্ববেদে ইন্দ্রের শক্তির (সামর্থ্যািব ) বিষয় উল্লেখ আছে। কৃষ্ণ যজুৰ্বেদীয় শ্বেতাশ্বতবোপনিষদে ( ১৩ ) দেবাত্মশক্তির উল্লেখ আছে। ঋগেদে ( ৫৷৷৪৬৭-৮ ) এবং ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণে ( ১৩,১৩১ ) আমব দেৰপত্নীর উল্লেখ পাই ; কিন্তু তঁাহাবা দেবশক্তি বলিয়া কুত্ৰাপি বৰ্ণিত হন নাই । এই শক্তি ত্ৰিবিধা,--ইচ্ছাশক্তি, ক্রিয়াশক্তি ও জ্ঞানশক্তি । “ইচ্ছা ক্রিয়া তথা জ্ঞানং গৌরী ব্ৰাহ্মী তু বৈষ্ণবী। ত্ৰিদ্ধা শক্তি: স্থিতা লোকে তৎপরং জ্যোতিরোমিতি ৷” —মহানিৰ্বাণতন্ত্র ৪র্থ পটল । ইচ্ছা, ক্রিয়া এবং জ্ঞানশক্তি নামক শক্তি ত্রয় বিদ্যমান আছে। তাহাদিগকে গৌরীশক্তি ব্ৰাহ্মীশক্তি ও বৈষ্ণবী শক্তি বলা যায় । জ্যোতিঃস্বরূপ পরব্রহ্ম এই শক্তিত্ৰয়ের অতীত । ইচ্ছা তু বিষ্ণবে দত্ত ক্রিয়াশক্তিস্তু ব্ৰহ্মণে । মহৎ দত্ত জ্ঞানশক্তি: সৰ্ব্বশক্তিস্বরূপিণী ॥-যোগিনী তন্ত্র ।