পাতা:কবিকঙ্কণ চণ্ডী (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা S is এই জন্যই আমরা বলিয়াছি, মুকুন্দরাম সন্ধিযুগের কবি ! 4क দিকে “গ্রাসগুলি তোলে যেন তে-অঠিয়া তাল” অপর দিকে,-“মন্দ মন্দ বহে হিম দক্ষিণ পবন । অশোক কিংশুকে রামা করে আলিঙ্গন” প্রভৃতি সংস্কৃত কথার মাধুরী । এক দিকে মুরারী শীলের "সোনারূপ নহে বাপা এ বেঙ্গা পিতল। ঘষিয়া মার্জিয়া বাপা করিছ। উজ্জ্বল” আর অপর দিকে খুল্লনার চাগা-রক্ষণ-কালে প্ৰাকৃতিক দৃশ্য বৰ্ণনায়, নব বসন্তাগমের পথে পথে সংস্কৃত শব্দের শোভা-যাত্ৰা আড়ম্বরের সহিত প্ৰকাশমান । এক দিকে বণিকসভার বাকবিতণ্ডায় প্ৰাকৃত-কথার মুখরিতায় ভাষা তীব্র ও মৰ্ম্মস্পর্শী হইয়াছে, অপর দিকে গজগ্ৰাসিনী চণ্ডীর পদ্মবনে “হায় হায় নলিনী কেমনে সহে৷ ভার ?” প্রভৃতি বর্ণনায় মধুরাক্ষরা সংস্কৃত কথা বৃষ্টি করিয়া কবি নবযুগের লক্ষণাক্রান্ত হইয়াছেন ; এক দিকে ফুল্লারার কারমাসীর “শিরে দিতে নাহিত অ্যাটে খুয়ার বাসন', অপর দিকে রাজ-কুমারী সুশীলার বারম্যাসীতে “শুন৷ প্ৰাণনাথ ওহে শুন প্ৰাণনাপ | নিদাঘে শীতল বড় তরুণীর হাত” প্ৰভৃতি সুসংস্কৃত পদাবলী । কবিকঙ্কণ বঙ্গাপল্লীতে দাড়াইয়া সংস্কৃতের ভাণ্ডারের দিকে মাঝে মাঝে এই ভাবে দৃষ্টিপাত কুরিয়াছেন। কালকেতুর আখ্যানে কবি গ্রাম্য ভাব বেশী বজায় রাখিয়াছেন। প্ৰাচীন যুগের চরিত্র-বিল ও মহাত্মা কালকেতুর গল্পে ফুটিয়া উঠিয়াছে, কিন্তু ধনপতির চুরিত্ৰবল তাদৃশ দৃষ্ট হয় না। কালকেতু—মহাযোদ্ধ—মহাবীর, তিনি ৮ শুধু পশু-দলন করিয়া ভঁাহার শক্তিমত্ত্ব দেখান নাই, - তিনি ইন্দ্ৰিয় বিজয়ী, অতুল নৈতিক শৌৰ্য্য-সম্পন্ন শ্ৰদ্ধেয় চরিত্র; কেবল কাব্যের শেষ ভাগে তিনি ফুল্লারার রন্ধনশালায় লুকাইয়া কতকটা আশ্রদ্ধেয় হইয়াছেন ! এই ক্ৰটি ছাড়া তাহার গ্রাম্যতা ও অশিষ্টতা সত্ত্বেও তিনি প্ৰকৃত কাব্য নায়ক হইবার যোগ্য । সেই গ্ৰাম্যতাও ব্যাধি-নায়কেরই যোগ্য ; তাহাতেও নানাবিধ অমাৰ্জিত রুচি-বিকৃতির ছড়াছড়িসত্ত্বেও কবির অসাধারণ অন্তদৃষ্টি প্ৰতিপন্ন 03- TS f , . হইতেছে। তিনি সংস্কৃত অলঙ্কার শাস্ত্ৰ পড়িয়াও ব্যাধনায়ককে অস্বাভাবিক games i 4 har ** ** ** ------------ kalis P ভাবে সাজাইবার লোভ-সংবরণ করিয়াছেন-ইহু, ভীহার প্রকৃত কবিত্ব s-sæt - om mo" - - siq arrer ** ** -- grundo