বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কবিতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবিতাকুসুমাঞ্জলি।
৩৭

পতিপ্রাণা রমণীর হৃদয়ের ধন,
কেমনে অকৃপ কাল! কররে হরণ!
হারাইলে চক্রবাকে চক্রবাকী প্রায়,
পতিহীনা সতী কাঁন্দে পড়িয়া ধরায়।
কোন প্রাণে ওহে কাল। দেখ তা নয়নে,
কেমন তোমার ভাব বুঝে কোন জনে।


ঈশ্বরপরায়ণের ব্যাকুলতা।

কোথা প্রিয়তম! তুমি জীবনের ধন হে,
না হেরে তোমারে বুঝি, যায় এ জীবন হে।
অকুল পাথরে পড়ে হতেছি আকুল হে,
ব্যাকুল-বচনে ডাকি হও অনুকূল হে।
অন্ধকারে মরি আমি অন্ধের মতন হে,
তমো রাশি নাশ নাথ! দিয়া দরশন হে।
তোমার বিরহানলে জ্বলিছে জীবন হে,
নিভাও বরষি নাথ! করুণা-জীবন হে।
অন্তরে না সহে আর বিরহ তোমার হে,
পলকে প্রলয় জ্ঞান হতেছে আমার হে।
নাহি চাই ধন রত্ন হীরক কাঞ্চন হে,
নাহি চাই হয় হস্তী শোভন ভবন হে।