পাতা:কবিতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবিতাকুসুমাঞ্জলি।
৪৫

কবিতা।

ওহে নিষাদ! কি ক্ষণে তুমি বকের মিথুনে,
বাণ হেনেছিলে, যুজি নিজ ধনুকের গুণে,
তাই রত্নাকর হতে পাই কবিতারতন,
যাহা রত্নাকরে নাহি মিলে করিলে সেচন।—
ওহে রত্নাকর! কিবা সৃষ্টি করেছ সংসারে,
যত বিধাতার সৃষ্টি রত্ন তার কাছে হারে।
কিবা কবিতা-কুসুম-বন করেছ সৃজন,
ধরে তার কাছে কত শোভা নন্দনকানন।
এই সুরম্য কাননে যত মানবভ্রমরে
যবে মনের আনন্দে মধুরস পান করে,
থাকে ভোর হয়ে ভাবে, তারা ভুলিয়া ভুবন,
আহা সেই মুখ সেই জানে, জেনেছে যে জন।
শুনি, কবিতা! সে মুনিমুখে জনম তোমার,
তাই বিমল আনন্দ দানে কর উপকার।
আহা কি সুন্দর ভাব-তব কবিতা সুন্দরি!
মরি, কিবা সুখ হয় শ্রুতিপূটে পান করি।
জানি, তোমার সে সূধারসে রসে যার মন,
ভাসে আনন্দ সাগরনীরে সদা সেই জন।