পাতা:কবিতাবলী (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কবিতাবলী।
৩১

ঘুচাইতে এ যন্ত্রণা সাধ্য নাই কার,
তাই নিবেদন করি লিখ যত পার।
অনাথা দুঃখীর দুঃখ করিতে সাত্ত্বনা
হয়েছে লিপির সৃষ্টি বিধির বাসনা।
বুঝি কোন নির্ব্বাসিত পুরুষপ্রেমিক,
অথবা রমণী কোন প্রেমের পথিক,
ঘুচাতে বিচ্ছেদজ্বালা আরাধনা করে
শিখেছিল এ কৌশল বিধাতার বরে।
প্রাণভোরে অন্তরের কথা প্রকাশিতে
এমন উপায় আর নাই এ মহীতে।
নাসা, কণ্ঠ, চক্ষু কিম্বা ওষ্ঠে যাহা নয়,
লিপির অক্ষরে ব্যক্ত হয় সমুদয়।
খুলে দেয় একেবারে প্রাণের কপাট,
ধারে না লজ্জার ধার, থাকে না ঝঞ্ঝাট।
উদয়-ভূধর হতে অস্তাচলে যায়,
প্রণয়ী জনের কথা গোপনে জানায়।
জান ত হে প্রিয়তম! প্রথমে কেমন
সখাভাবে কত ভক্তি করেছি যতন।
জানি নাই প্রথম সে প্রেমের সঞ্চার
ভাবিতাম যেন কোন দেবের কুমার;