পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৯

না, নিষাদ, না! প্রতিষ্ঠা তোমার-ই হবে!
বাবুদের যশ হোক বিবিদের রূপ হোক জয় হোক
লিপিকর মশায়ের, ক্ষতি নেই, শেষ কথা তুমি
বলবে, তুমি! ধুলোয় আকাশে তারায় শেকড়ে
জলে স্বপ্নে ভাতের কান্নায় নেই আর কামমোহিতেরা!
আগুন-কুহক নয়, জেগে উঠল তোমার যন্ত্রণা ঐ
প্রতিদিন রক্তক্ষরণের। অলীক আর্দ্রতা থেকে
তাই ঝরে পড়ল মুগ্ধতা-বিলাস।


২০

ফসলের কথা বলো না এখন। ঐ
দিগন্তে তাকিয়ে দ্যাখো
দীর্ঘ রাত্রি। উত্থানের ছলে তাকে
ছুঁতে চাও কেন? আজ শূন্য
সমস্ত নিয়েছে- ক্ষুধার্তের ক্ষুধা, প্রিয়
ইন্দ্রিয়চেতনা। ভাষাজননীর
কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখি ঋক এই শূন্যতার।
ওদন কোথাও নেই, শিশু কাঁদে
আজও। যতটুকু খুদ ছিল বিদুরের ঘরে
নিয়ে গেছে ডিহিদার মামুদের চর
নামো রাত্রি, নামো। মুছে দাও এই
লজ্জাহীন আকাঙক্ষার আয়ু!


২১

মৃত্যুকে যে বুকে নিয়ে এল সে-ই নচিকেতা
পথে-পথে ছড়িয়ে পড়েছে তার গোপন কৌতুক

কোথাও রয়েছে কোনো বিধুর আশ্লেষ
কোথাও ছিল কী কারো প্রতিশ্রুতি?

সব পথ আজ নিরালোক, দিগন্তে বিলীন
পথিকেরা শুধু জেনে নেয়
কতটা গভীরে আছে স্মৃতির কুহক, আর
রক্তরেখা থেকে
কতখানি দুরে পড়ে রইল অহল্যা-পাথর!

৯৯