পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পালকের ছিল মেঘ ছিল আলো
ছিল তার
স্বপ্ন আর যন্ত্রণা মেশানো দীর্ঘতর
পরম্পরা

পাখি জানে আকাশের রেখা যত বড়ো
তত দূর অশ্রুর সীমানা
তাই খোঁজে পাখি-মাকে কনীনিকা থেকে
কুয়াশা ঝরিয়ে

8
স্মৃতির ভাড়ার থেকে খুঁটে-খুঁটে তুলে নিচ্ছি
অনুপুঙ্খগুলি
প্রচ্ছদের ভার রয়ে গেছে শুধু স্নায়ুহীন
শূন্যের বিস্তারে



শৈশবের চিতা জ্বলে লেলিহ আগুনে
পান্থপাদপের ছায়া মায়ের শরীরে পুড়ে যায়
পুড়ে যায় চোখের পাতায় বরাভয়, চন্দনের মতো
শান্ত ও মধুর ছোঁয়া, সর্বাঙ্গে জড়ানো ওম

সমিধ করেছি আজ শিশুকাল, কৈশোরের দুরন্ত বিকেল
তার হাতে তুলে-দেওয়া দুধভাত, ক্ষমা ও কল্যাণ
সব ছন্দ সব গান সব ভাষা সমস্ত উত্থান পুড়ে যায়
ধিকিধিকি ছাইয়ের আগুন নেভাই উৎসারে

মাটির কলস ভেঙে ফিরে আসি কাঙালের মতো
অস্থি-অবশেষ নিয়ে রিক্ত জ্যোৎস্নায়
ক্লান্ত শরীর তখনো ঘিরে রাখে মায়ের আঁচল

কিছুই পোড়েনি তবু, কিছুই পোড়ে না।

১১৮