৩৫
শূন্য থেকে ছিটকে পড়ছে ঘোর অন্ধকার
এ কোনো রূপক নয়, বুদ্বুদের তুমুল বাস্তব
কথা থেকে কথা থেকে আরো আরো কথা
মিশে যাচ্ছে মহাশূন্যে, শূন্যের হুল্লোড়ে
তুমুল বুদ্বুদ নিয়ে জেগে উঠছে বিভ্রমেরা
মাখি, খাই, উগরে দিই গাঢ় অন্ধকার, লক্ষ হাতে
দিই তালি, ঢেউ তুলি, শূন্য থেকে আরো শূন্যে
ভেসে যাই আর বিভ্রমের তুমুল বাস্তব থেকে
কথা ছিঁড়ে আনি, কথা থেকে কথা আরো কথা...
বিকেল ৩-১৫, দিল্লি (Society for promotion of Wasteland Development), ২৩.৮.১১
৩৬
কতটা আলোর কাছে গেলে মুছে নিতে পারি
অন্ধকার, সেই কথা বলো
কতটা চিহ্নের কাছে গেলে ভুলে যেতে পারি
বাক্-চতুরতা, আমাকে বোঝাও
কার কাছে এসব জানাই? নিজের ছায়ার কাছে!
প্রতিধ্বনি ফিরে আসে
অমোঘ নৈঃশব্দ্য নিয়ে, কোনো ভাষা দিয়ে
জাগাতে পারি না আর
চতুরতা মুছে দেয় আলোর ইশারা
সব চিহ্ন গিলে খায় রূঢ় অন্ধকার
এবার আমাকে নেবে? নাও, শুষে নাও
সকাল ৮-০০, ২৭.৮.১১, সংস্কৃত বিদ্যাপীঠ, বিশ্রান্তি নিলয়, দিল্লি
৯৭
কবিতাসংগ্রহ ৩-৭