বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২২

মুছে নাও ইতিহাস, সরে এসো কবিতা-উৎসব থেকে
শোনো, কান পেতে শোনো বাজনা বাজছে মিছিলের
বিসর্জন-নাচে কেঁপে উঠছে খামারবাড়ির পথ
বেরিয়ে এসো সবাই, হিজড়ে-পল্লী থেকে যত আতুরেরা
সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে, এবার মোচ্ছব হবে
ঘষে-ঘষে মোছো স্মৃতি, মুছে নাও যত পরম্পরা

সকাল ৬-৩০॥ ২১.১১.১১॥ এআইইউ, দিল্লি


২৩

একদা সংকেত ছিল নবান্নের ঘ্রাণে জেগে উঠব রোজ
দীর্ঘ খরা হবে এরকম
গূঢ় বার্তা ছিল না কোথাও, নাশকতা ভরা
দিনরাত পেরিয়ে পেরিয়ে
একে একে খসে গেল পুরোনো প্রচ্ছদ, অভ্যাসের
যতিচিহ্নগুলি, এখন করোটি ছাড়া
অন্য কিছু অবশিষ্ট নেই। নেই? নাকি গুপ্ত আততায়ী
রেখে গেছে অজস্র স্মারক
দিনলিপি জুড়ে! এতসব দেখে-শুনে বুঝে নিচ্ছি
ক্ষয়কীট কুরে কুরে খেয়ে গেছে
মেধা-মজ্জা শিকড়-বাকড়। চোখে ছানি পড়ছে, দ্রুত
নিভে যাচ্ছে শেষ বিকেলের আলো
তবুও আক্ষেপ নেই যদি ভালবাসা সঙ্গে থাকে
অক্ষরের গর্ভগৃহ জুড়ে সূর্যাস্ত অবধি

সকাল ৮টা॥ তদেব

১২৬