Rbo কবিতা-কুসুমাঞ্জলি । বৰ্ষা বলবতী ; অতএব বর্ষাবসানে শরদােগমেই সীতান্বেষণে ভূরি ভুরি দূত প্রেরণ করিব। -এই যুক্তি স্থির করিয়া বনচারী রাম বনে রহিলেন, এবং সুগ্ৰীবকে কিষ্কিন্ধ্যা নগরী গমন করিতে অনুমতি করিলেন ; তথাস্তু বলিয়া সুগ্ৰীব স্বরাজ্যে গমন পূর্বক রাজ্যসুখে ও তারা সম্ভোগে উন্মত্ত হইয়া কিষ্কিন্ধ্যা নগরে পরম সুখে বাদ করিতে লাগিলেন। বর্ষান্তে শারদগণেও কামাসক্ত এবং মধুপানে উন্মুক্ত সুগ্ৰীবের সীতান্বেষণ বিষয় স্মৃতিপথে পতিত হইল না। — তৎপরে রামচন্দ্ৰ যথাকালে মিত্র, সুগ্ৰীবের কোন বাৰ্ত্ত! অপ্রাপ্তি জন্য লক্ষ্মণকে কিষ্কিন্ধ্যায় গমনানুমতি করিলে,-লক্ষ্মণ বানর-রাজধানী কিষ্কিন্ধ্যা নগরীতে গমন করিয়া রাজভবনের সিংহদ্বারে বানচারী লক্ষ্মণ উপস্থিত হইয়া কোন দৌবারিক দ্বারা বানর-রাজসুগ্ৰীবের নিকট সংবাদ করিলেন যে, রাজা মহাশয়কে বলুন, “দ্বারদেশের বহির্ভাগে রামানুজ লক্ষ্মণ উপস্থিত হইয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছেন ;- এই কথা শুনিয়া মধুপানাসক্ত সুগ্ৰীব কছিলেন, কে লক্ষ্মণ ? কোথা হইতে আসিয়াছে ? রাম-ই বা কে ? প্রত্যাগত দূত আসিয়া লক্ষ্মণকে সেইরূপ কথা কহিলে, তৎকালে ভীষণ-ভাবে রুষ্ট কইয়া লক্ষ্মণ কহিলেন যে, “বালি হস্তা রাম, তাহার অনুজ লক্ষ্মাণ কোদণ্ডধারণ পূর্বক দ্বারে দণ্ডায়মান আছেন, তৎসঙ্গ সাক্ষাৎ করিবেন কি ?—না,— সমনভবন-বাসি লালী-সহ সাক্ষাৎ করিবেন ?” ইত্যাদি বাক্য দূত মুখে শ্রবণ করিয়া তৎক্ষণাৎ ভীত ও তটস্থ হইয়া সস্ত্রীক সুগ্ৰীব দ্বাবে পস্থিত বনাচারী লক্ষ্মণের পদানত হইলেন এবং কহিলেন-হঁ। বর্যাবসান হইয়াছে সাতা, আর দশাহ কাল অপেক্ষা করুন, তৎপরেই সীতান্বেষণে দশদিকেই দূত প্রেরণ করিব ইত্যাদি সম্ভাষণে ও বহুবিধ স্তুতিবাক্যে লক্ষ্মণকে সন্তুষ্ট করিয়া বিদায় করিলেন । প্ৰত্যাগত লক্ষ্মণ রামসমীপে উপস্থিত হইয়া বলিতেছেন- যথাহে সীতোদ্ধারণ তৎপর প্রভু রামচন্দ্র। যে পশু অণ্ডকোষ হইতে যুঁকি ( উকুন ) বাছিয়া খায়, এমন নীচাশয় বানর-জন্তু অবলম্বনে সীতা উদ্ধারণ বিষয়ে যত্নবান DD DDD D DDDYiuDBBDB BBYB BD BB BD DBDDD BDDBB JSJ অতএব নীচের উপকার করিলে তাহদের মনে থাকে না, এই ইহার তাৎপৰ্য্য ॥১১
